ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নিরাপত্তা চায় নুসরাতের পরিবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
নিরাপত্তা চায় নুসরাতের পরিবার নুসরাতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন এমপি লে. জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী। ছবি: বাংলানিউজ

ফেনী: ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির হত্যা মামলাটির রায় না হওয়া পর্যন্ত পুলিশি নিরাপত্তার দাবি করেছে তার পরিবার।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভূঞাঁ) আসনের সংসদ সদস্য লে. জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী নুসরাতের বাড়িতে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে গেলে নুসরাতের বাবা মাওলানা একেএম মুসা মানিক এ দাবি জানান।

তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্নভাবে হুমকি আসছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য।

আমরা সরকারের কাছে দাবি, মামলাটির রায় না হওয়া পর্যন্ত যেন আমাদের সবাইকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়।

এসময় ফেনী-৩ আসনের সাংসদ মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমি এ ব্যাপারে সোনাগাজী মডেল থানা, ফেনী জেলা পুলিশ এবং ডিআইজির সঙ্গে কথা বলবো। আশা করছি, পুলিশ নিরাপত্তা দেবে।

এদিকে সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো. কামাল হোসেন বলেন, হত্যাকাণ্ডের দিন থেকেই সোনাগাজী পৌর শহরের চর চান্দিয়া ইউনিয়নের নুসরাতের বাড়িতে ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশ। বাড়ি ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য প্রতিদিন একজন অফিসার ও তিনজন কনস্টেবল নিয়োজিত আছেন।

মামলার রায় পর্যন্ত নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে, সোনাগাজী মডেল থানার ওসি জানান, এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন। উপর মহল থেকে নির্দেশ সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ মামলার রায় দেওয়া পর্যন্ত এভাবে পুলিশি নিরাপত্তা অব্যাহত রাখবে।   

গত ৬ এপ্রিল সকালে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় নুসরাত আলিমের আরবি পরীক্ষা প্রথম পত্র দিতে গেলে মাদ্রাসায় দুর্বৃত্তরা গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫দিন পর ১০ এপ্রিল রাতে মারা যায়। পরদিন ১১ এপ্রিল বিকেলে তার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে নুসরাতে ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ১০ এপ্রিল থেকে মামলাটির দায়িত্ব পায় পিবিআই। সেই থেকেই গ্রেফতার হতে থাকে আসামিরা। এ পযন্ত গ্রেফতার হয় ২০ জন আসামি, আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে আটজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
এসএইচডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।