এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনি বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এরইমধ্যে অপহৃতদের উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোহাগ রনি তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কামারগাঁও মেঘনা ইকোনোমিক জোনে সুলতান কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামে তার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর নির্দেশে এসকে সজিব, সুমন, শান্ত, মো. ফয়সাল, মুশফিকুর রহমান সিয়াম, রানা, ফয়সাল, সাগরসহ আরো ৫-৬ জন তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
রনি জানান, চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় মঙ্গলবার দুপুরে তার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার জুয়েল ও অফিস সহকারী ইয়াসিন আরাফাতকে সোনারগাঁও শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থেকে অপহরণ করে গোহাট্টা গ্রামের দুলালের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তারা জুয়েলকে মারধর করে তার কোম্পানীর নির্বাহী পরিচালক রিন্টুকে ফোন দিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
এ ঘটনায় সুলতান কনস্ট্রাশকনের মালিক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনি বাদী হয়ে সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুকে প্রধান আসামি করে সোনারগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এতে নয়জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
সুলতান কনস্ট্রাকশনের মালিক সোহাগ রনি বাংলানিউজকে বলেন, আমার অফিসের লোকজনকে ১০ লাখ টাকা চাঁদার জন্য অপহরণ করা হয়। সোনারগাঁও থানা পুলিশের সহযোগিতায় বিকেলে অপহৃতদের উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি মঙ্গলবার সারাদিন সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলাম। এ ঘটনার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। সোহাগ রনি নিজেই নাটক সাজিয়ে আমাকে ফাঁসাতে চাইছে।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, অপহরণের বিষয়ে একটি অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মো. ফয়সাল ও মুশফিকুর রহমান সিয়াম নামের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
একে/এমজেএফ