মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল থেকে বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দীপ্তিময়ী জামান নেতৃত্বে শীতলক্ষ্যার পশ্চিম তীরে চনপাড়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
এসময় বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম-পরিচালক মো. গুলজার আলী ও উপ-পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ২টা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে পাকা ও আধাপাকা বসতবাড়িসহ অন্তত ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
গুলজার আলী জানান, দশদিনের উচ্ছেদ অভিযান কর্মসূচির প্রথম ধাপে তিনদিনের অভিযানে সুলতানা কামাল সেতুর পূর্বপাড় থেকে পশ্চিমপাড়ে চনপাড়া এলাকা পর্যন্ত দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। দ্বিতীয় ধাপে পুনরায় চনপাড়া থেকে অভিযান শুরু হয়েছে।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসন, ভূমি কর্তৃপক্ষ ও বিআইডব্লিউটিএ'র যৌথ সমন্বয়ে নদীর সীমানা সংক্রান্ত পুনঃজরিপ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। সেই আলোকে পুনরায় সীমানা পিলার স্থাপন করতে নদীর জায়গা দখলমুক্ত করা হচ্ছে। নদীর সীমানার দেড়শ ফুট পর্যন্ত এলাকায় উচ্ছেদ চলবে। গত তিনদিনে প্রায় দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, শীতলক্ষ্যা নদীর ৫০১১টি সীমানা পিলার পুনঃস্থাপনে ইতোমধ্যে একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। নতুন সীমানা পিলার ৪০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট হবে। এছাড়া সরকার ঢাকার চারপাশের ২১০ কিলোমিটার নদীপথ রক্ষায় ওয়াকওয়ে বনায়ন করছে। ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জে ২৫ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মিত হয়েছে। আরও ১৭ কিলোমিটার ওয়াকওয়ের নির্মাণকাজ শিগগিরই শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
ওএইচ/