ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

সরকারের ১০০ দিন উদ্যোগহীন-উদ্দেশ্যহীন ছিল: সিপিডি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
সরকারের ১০০ দিন উদ্যোগহীন-উদ্দেশ্যহীন ছিল: সিপিডি সভায় অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যমহ অতিথিরা, ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: সরকারের গত ১০০ দিনের শাসন উদ্যোগহীন, উদ্দেশ্যহীন, উৎসাহহীন ও উচ্ছ্বাসহীন ছিল বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ও অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

তিনি বলেছেন, ধারাবাহিকতার গতানুগতিক ছিল, অথচ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল অত্যন্ত সুচিন্তিত। যার বাস্তবায়ন ছিল না ১০০ দিনে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সিপিডি আয়োজিত ‘বর্তমান সরকারের একশ’ দিন’ শীর্ষক উন্নয়ন পর্যালোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন দেবপ্রিয়।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছে, তা অত্যন্ত সুচিন্তিত। তবে কোনো পথিত শক্তি এই ইশতেহার বাস্তবায়নে বাধা তৈরি করেছে। এতে তাদের ক্ষমতায় নতুন উদ্যোগ দেখিনি। বলা যায়, সরকারের গত ১০০ দিন ছিল উদ্যোগহীন উদ্যোমহীন, উচ্ছ্বাসহীন এবং উৎসাহহীন।

তিনি বলেন, কোনো উন্নয়নের মাপকাঠি না করেই শুধু প্রবৃদ্ধির কথা আনা হচ্ছে। তবে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ভালো, যদি তা সত্য হয়। প্রবৃদ্ধির ডাটা তৈরি করতে অনেক বিষয় আছে, যেগুলো আনা হয়নি। প্রবৃদ্ধি এমন হতে হবে যেখানে ৮ শতাংশের ভিত্তিটার স্বচ্ছতা থাকতে হবে। আর এটা না করে এই আলেখ্য প্রবৃদ্ধির কথা বলা হলে, সেটা আমাদের উদ্বিগ্ন করে। সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা বললেও রাষ্ট্রের মধ্যে দুর্নীতি প্রকট আকার ধারণ করেছে।

সরকারের কার্যক্রমের প্রশংসা করে তিনি বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে হলেও কিছু উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। ভ্যাট বাস্তবায়ন হবে কি-না জানি না, তবে এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, এটা ইতিবাচক। এক সময় জেলা বাজেট ছিল, এবার আবার আলোচনায় এসেছে, বৈশ্বিক বাণিজ্য চুক্তি হচ্ছে। টাকা পাচার প্রতিরোধে অবৈধ মানি লন্ডারিং বিধিমালা প্রশংসার। শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বেড়েছে, যা ইতিবাচক। যদিও তা পর্যাপ্ত না। অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্পগুলোকে নেওয়া হচ্ছে।

তার মতে, সার্বিকভাবে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত না হলো সরকারের সুচিন্তিত, সুলিখিত ইশতেহার বাস্তবায়ন সম্ভব না। এতে গত ১০০ দিন ভুলে আগামী ১০০ দিনকে ভালোভাবে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন এ অর্থনীতিবিদ।

সিনিয়র ফেলো খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আমাদের প্রবৃদ্ধি বাড়ার কথা বলা হচ্ছে, অন্যদিকে বৈষম্য চরমে। আমাদের ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্রে যেতে হলে, সার্বিক বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে এগোতে হবে। শ্রমবাজার বাড়ছে শিক্ষিত কিন্তু বেকারও বাড়ছে, দক্ষ শ্রমশক্তি বাড়াতে হবে। মূল কথা ডেমোগ্রাফি ডিভিডেন্টকে কাজে লাগাতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
ইএআর/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।