ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জাজিরা প্রান্তে রাখা হবে পদ্মাসেতুর স্প্যান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
জাজিরা প্রান্তে রাখা হবে পদ্মাসেতুর স্প্যান

জাজিরা থেকে: পদ্মাসেতুতে স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) রাখার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে জাজিরা প্রান্তে। সেতুর ৩৬ নম্বর পিলারের সামনে নদীর পাড়ে চলছে তিনটি স্প্যান রাখার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি। মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে জায়গা সংকুলানের জন্য স্প্যান রাখতে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা এ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মার পাড়ে স্প্যান রাখার জন্য তিনটি স্টেজ তৈরির কাজ চলছে। ৫ নম্বর মডিউলের তিনটি স্প্যান রাখার পরিকল্পনা আছে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের।

পিলারের কাজ সম্পন্ন হলে এখান থেকেই নিয়ে গিয়ে বসানো হবে।

পদ্মাসেতুর উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর বাংলানিউজকে জানান, সম্প্রতি চীন থেকে ‘৩-এফ’ নামে একটি স্প্যান এসেছে মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে। মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে স্প্যান রেখে জায়গা সংকুলান হয়ে গেছে। এ কারণে স্প্যান রাখার জন্য এখানে একটি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবকিছু অনুকূলে থাকলে আগামী মাসে ১-২টি স্প্যান এখানে রাখার পরিকল্পনা আছে। স্প্যান রাখার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে জাজিরা প্রান্তের এই অংশে। টেম্পোরারি প্লাটফর্মে রাখা হবে এসব স্প্যান। এখন চলছে প্লাটফর্ম তৈরির কাজ।

>>>আরও পড়ুন...দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতুর ১৬৫০ মিটার

জানা যায়, মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে জায়গা সংকুলানের কারণে একটি অস্থায়ী স্প্যান রাখা হয় ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের ওপর। মাওয়ায় ২২টি স্প্যানের মধ্যে ১১টি স্প্যান বসানো হয়েছে। চীন থেকে জাহাজে করে স্প্যানের অংশগুলো আসে মাওয়ায়। এরপর এসব অংশ জোড়া দিয়ে পরিপূর্ণ স্প্যান তৈরি করা হয়।
 
পুরো পদ্মাসেতু এখন ১৬৫০ মিটার দৃশ্যমান। মে মাসের মাঝামাঝি সেতুর ১৪-১৫ নম্বর পিলারের ওপর ‘৩-বি’ স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা আছে প্রকৌশলীদের। এরপর দুই মাসের বেশি সময় পর সেতুর ৩৩-৩২ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হতে পারে ‘৬-বি’ স্প্যানটি।

পদ্মা সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে সে দেশেরই আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। জাজিরায় স্প্যানগুলোতে রেলওয়ে স্ল্যাব ও রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ চলমান রয়েছে।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।