ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

 প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ নুসরাতের বাবা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
 প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ নুসরাতের বাবা নুসরাতের বাবা মাওলানা একেএম মুসা মানিক, ইনসেটে নুসরাত জাহান রাফি।

ফেনী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার মেধাবী ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির বাবা মাওলানা একেএম মুসা মানিক। 

তিনি বলেন, মাদ্রাসা অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার দোসরদের দেওয়া আগুনে পুড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নুসরাতের খোঁজ-খবর নিয়েছেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নিতেও বলেছেন।  

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই বাংলাদেশ এবং সিঙ্গাপুরে খ্যাতনামা চিকিৎসকরা আমার মেয়ের চিকিৎসার জন্য কাজ করে গেছেন।

কিন্তু ভাগ্যের নির্মমতায় মেয়েকে বাঁচানো যায়নি।
 
নুসরাতের বাবা মাওলানা মুসা মানিক আরো বলেন, ‘আমার মেয়ের মৃত্যর পরে এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করার জন্য দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা ছিলো প্রধানমন্ত্রীর। আর তার ফলশ্রুতিতেই খুব দ্রুত তম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে প্রায় আসামি।  

এসময় তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী শুরু থেকে যেভাবে এ ব্যাপারে মনোযোগী ছিলেন শেষ পর্যন্ত মনোযোগী থাকলে কোনো আসামিই রেহায় পাবে না। আসামিদের এ হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।  

ফেনীর সর্বাধিক পঠিত ও প্রাচীন সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘হকার্সে’র সম্পাদনা পরিষদ ও সংবাদকর্মীরা নুসরাতের পরিবারের প্রতি সমবেধনা প্রকাশ করতে গেলে ওই পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক নুরুল করিম মজুমদারের কাছে তিনি প্রধানমন্ত্রীর জন্য এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
 
এ সময় নুসরাতের বাবা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করে দিয়েছেন অপরাধী যেই হোক, যে দলেরই হোক না কেন তাদের রেহায় নেই। প্রধানমন্ত্রী একজন নারী হয়ে আরেকজন নারীর পাশে থাকায় বাংলাদেশের সব নারীর কাছ থেকে তিনি কৃতজ্ঞতা পাওয়ার দাবিদার।  

গত ৬ এপ্রিল সকালে নুসরাত আলিম শ্রেণির আরবি পরীক্ষার প্রথমপত্র দিতে গেলে মাদ্রাসায় দুর্বৃত্তরা তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫দিন পর ১০ এপ্রিল রাতে মারা যায়।  

পরদিন ১১ এপ্রিল বিকেলে তার জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে নুসরাতে ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ১০ এপ্রিল থেকে মামলাটির দায়িত্ব পায় বিপিআই। সেই থেকেই গ্রেফতার হতে থাকে আসামিরা। এ পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এদের মধ্যে আদালতে জবাবন্দি দিয়েছে ৭ জন।  

বাংলাদেশ সময়: ০৪২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
এসএইচডি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।