ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘এখনও জেনোসাইডের স্বীকৃতি পায়নি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
‘এখনও জেনোসাইডের স্বীকৃতি পায়নি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ সমাপনী অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ অতিথিরা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: শেষ হয়েছে সপ্তম আন্তর্জাতিক মুক্তি ও মানবাধিকার বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব। এই উৎসবে এবার সেরা ছবি নির্বাচিত হয়েছে ফুয়াদ চৌধুরী নির্মিত ‘মার্সেনেজ মেহেন’।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি রবিউল হুসাইনের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উৎসব পরিচালক তারেক মজুমদার, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক বিধান চন্দ্র কর্মকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক কাবেরি গায়েন, উৎসবের ইন্টারন্যাশনাল মেন্টর নিলুৎপল মজুমদার, জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হকসহ বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকাররা।

আয়োজনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমাদের এখন মুক্তিযুদ্ধের পাশাপাশি গণহত্যার ইতিহাসেও আসা উচিত। ২৫ মার্চের গণহত্যা দিবসকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এজন্য এখন আমাদের আরও নথিপত্র প্রয়োজন। যারা সিনেমা তৈরি করছেন, তারা তাদের সেসব দিকগুলো তুলে ধরতে পারেন।

ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক বিধান চন্দ্র কর্মকার বলেন, সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য প্রিন্ট মিডিয়ার থেকেও শক্তিশালী মাধ্যম হলো চলচ্চিত্র। কেননা, এটা সব শ্রেণির মানুষ বুঝতে পারে। আর তাই আমাদের তরুণ প্রজন্মকে এই মাধ্যমে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। তাদের জ্ঞানের মাধ্যমে উন্নয়নশীল চলচ্চিত্র তৈরিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।

অধ্যাপক কাবেরি গায়েন বলেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এতো কম সময়ে এমন বড় যুদ্ধ আর হয়নি। এটা শুধু যুদ্ধ নয়, একটা যেনোসাইডও। কিন্তু আমরা যখন বিদেশে যাই, তখন দেখি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে এখনও জেনোসাইড হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। অথচ গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ, নির্যাতন, ধর্মান্তরসহ জেনোসাইডের সব নির্মম বিষয়ই এই যুদ্ধের মধ্যে ছিল।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) থেকে পৃথিবীর মানুষের মুক্তি ও মানবাধিকার রক্ষার নানা প্রচেষ্টা ও সংগ্রাম মেলে ধরতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রয়াসে শুরু হয় আন্তর্জাতিক মুক্তি ও মানবাধিকার বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব।

এবারের উৎসবের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘রোহিঙ্গা পীড়ন’। দু’জন দেশি চলচ্চিত্রকার নির্মিত দু’টি প্রামাণ্যচিত্রের সঙ্গে বিশ্বের ১৩টি দেশের প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে সাজানো হয় পাঁচদিনের এ উৎসব।

উৎসবটিতে সেরা প্রজেক্ট হিসেবে রফিকুল ইসলাম আনোয়ারের ‘ম্যান্ডেলিন ইন এক্সাইল’ এবং বিশেষ প্রজেক্ট হিসেবে প্রিয়াংকার ‘মু্তিযুদ্ধে ত্রিপুরা’ নির্বাচিত হয়। এছাড়া ঢাকা ডকল্যাবের বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত হয় কৃষ্ণকলি ইসলামের ‘এনওসি’ প্রজেক্ট। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং ঢাকা ডকল্যাব এই মনোনীত প্রজেক্টগুলোকে চলচ্চিত্র হিসেবে নির্মাণে সার্বিক সহযোগিতা দেবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৯
এইচএমএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।