বনানীর বাড়িটিতে নানা শেখ ফজলুল করিম সেলিম, নানী, দুই মামা শেখ ফজলে ফাহিম ও শেখ ফজলে নাঈম, মা শেখ আমেনা ফজলুল করিম সোনিয়া, বাবা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে থাকতো জায়ান। সারাক্ষণ ক্রিকেট খেলে মাতিয়ে রাখতো সে।
রোববার (২১ এপ্রিল) শ্রীলংকায় ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় বানানীর বাড়িটি এখন শোকে মুহ্যমান। সবাই জেনে গেছে বাড়িটি মাতিয়ে রাখা জায়ান চলে গেছে না ফেরার দেশে। মঙ্গলবার আসবে তার মরদেহ। সব ঠিক থাকলে হয়তো বাদ আসরই নানা বাড়ির পাশের খেলার মাঠে হবে তার জানাজা।
আদরের জায়ানের মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরবেন দুই মামা ও নানী। বাবা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্সের শঙ্কা না কাটায় এবং দুই পা ড্যামেজ হয়ে যাওয়ায় মা সোনিয়া এবং ছোট ভাই ফিরছেন কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রিন্সকে হাসপাতাল থেকে সরাতে কমপক্ষে ১৫ দিন লাগবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন।
রোববার রাতে জায়ানের মারা যাওয়ার খবরের পর থেকেই বনানীর ২/এ সড়কের ৯ নম্বর বাড়িতে স্বজন, দলীয় নেতাকর্মী ও সরকারের মন্ত্রী ও পদস্থ কর্মকর্তারা সমবেদনা জানাতে আসছেন।
দুপরে ওই বাড়িতে আসেন জায়ানের দাদা এম এইচ চৌধুরী পারুল। গাড়ি থেকে নেমেই তিনি বেয়াই শেখ সেলিমকে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। উপস্থিত সবাই তাকে সান্ত্বনা দেন। এ সময় সেলিমও সান্ত্বনা দেন জায়ানের দাদা পারুলকে। এ সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৯
আরএম/এমজেএফ