রোববার (২১ এপ্রিল) ওই বৃদ্ধাকে গুরুতর অসুস্থাবস্থায় উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুলন্নেসা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয় দি বার্ড সেফটি হাউসের সভাপতি ও সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস।
ওই বৃদ্ধা স্পষ্ট করে কথা বলতে পারেন না বলে তার পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অসহায় এই বৃদ্ধাকে তার সন্তানরাই ফেলে রেখে গেছেন। পক্ষাঘাত রোগে আক্রান্ত এই নারীর ডান হাত, ডান পা, মুখের ডান পাশ অকেজো হয়েছে পড়েছে। সেজন্য তিনি স্পষ্ট করে কথা বলতে পারেন না।
মামুন বিশ্বাস আরও বলেন, ২০ দিন ধরে এ বৃদ্ধা মৃত্যু যন্ত্রণা নিয়ে স্টেশনের পাশের খোলা জায়গায় অবস্থান করছিলেন। তিনি অতি কষ্টে গড়িয়ে গড়িয়ে স্টেশনের পাশাপাশি চলাচল করতেন, কেউ কিছু খেতে দিলে তা খেয়ে কোনোমতে খেতেন।
দীর্ঘদিন গোসল করতে না পারায় এবং কাপড়েই মলমূত্র ত্যাগ করায় তার সারা শরীরে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছিলো। মশা-মাছিসহ বিভিন্ন পোকামাকড়ের কামড়ও সহ্য করছিলেন এই বৃদ্ধা।
খবর পেয়ে রোববার সকালে ইমন, লোকমান, সুজন, আলিম এবং আমিসহ কয়েকজন ওই বৃদ্ধাকে গোসল করিয়ে নতুন পোশাক পরিয়ে দেই এবং দুপুরের দিকে হাসপাতালে ভর্তি করি। ভর্তির পর তার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আপাতত আমাদের লোকজন তার পাশে রয়েছে। সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফরিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, আমরা ওই বৃদ্ধাকে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করবো।
হাসপাতালের সমাজসেবা কর্মকর্তা হাসান শরীফ বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যেসব ওষুধ প্রয়োজন সমাজসেবা অফিস থেকে সেটা সরবরাহ করা হবে। এছাড়া তার চিকিৎসার জন্য খরচও বহন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
এএটি/এইচএ/