রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবালের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল ব্যাংকগুলোতে গিয়ে মামলার আসামিদের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখেন।
পিবিআইয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল সংবাদকর্মীদের জানান, নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কোনো ধরনের অবৈধ অর্থ লেনদেন হয়েছে কিনা, তারা তা খতিয়ে দেখছেন।
তিনি বলেন, জেলা শহরের বেশ কয়েকটি ব্যাংকের শাখা পরিদর্শন করে হত্যাকাণ্ডের অবৈধ লেনদেনের উৎস খুঁজে বের করা হবে।
এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য পেয়েছেন কিনা, জানতে চাইলে তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এসময় চট্টগ্রাম পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈন উদ্দিন, নোয়াখালী পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাসু দত্ত, পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. জাহিদুর রহমানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি পরীক্ষা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। গুরুতর অবস্থায় রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মারা যান।
এ হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনসহ ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত ৮ জন আসামির সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ মার্চ ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেন নুসরাতের মা। নুসরাত চিকিৎসকদের কাছে দেয়া শেষ জবানবন্দিতে বলেছিলেন, নেকাব, বোরকা ও হাত মোজা পরা পাঁচজন তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
এসএইচডি/এএ