রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহম্মদের আদালতে তাদের হাজির করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, গ্রেফতার রানা ও মামুনকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল ) গ্রেফতার রানা ও মামুনের রিমান্ড শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহ আলম।
এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) রাঙামাটি ও কুমিল্লায় পৃথক অভিযান চালিয়ে রানা ও মামুনকে গ্রেফতার করা হয়।
পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈনউদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, শনিবার ভোরে রাঙামাটি সদরের টিঅ্যান্ডটি আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে রানাকে গ্রেফতার করা হয়। রানা ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চর গণেশ এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।
নুসরাত হত্যাকাণ্ডের পর রানা পালিয়ে রাঙামাটি গিয়েছিলেন বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মঈনউদ্দিন।
গ্রেফতার রানা নুসরাত হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারীদের একজন বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে কুমিল্লার পদুয়ার বাজার এলাকা থেকে মামুনকে আটক করেছে পুলিশ বলে দাবি করেছেন তার মা নুর নাহার বেগম। মামুনের বাড়ি সোনাগাজীর উপজেলার চর গনেশ এলাকায়। তবে এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক শাহ আলম।
গত ৬ এপ্রিল সকালে ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসায় নুসরাত আলিমের আরবি পরীক্ষার প্রথমপত্র দিতে গেলে মাদ্রাসায় দুর্বৃত্তরা গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাঁচদিন পর ১০ এপ্রিল রাতে মারা যায়।
পরদিন ১১ এপ্রিল বিকেলে তার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাকে প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ১০ এপ্রিল থেকে মামলাটির দায়িত্ব পায় বিপিআই। সেই থেকেই গ্রেফতার হতে থাকে আসামিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
এসএইচডি/আরআইএস/