মামলার তদন্তকারী ও পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম এ তথ্য বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
রোববার (২১ এপ্রিল) পর্যন্ত গ্রেফতাররা হলেন- অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা, পৌর কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, মাদরাসার ছাত্র নূর হোসেন, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, সাইদুল ইসলাম, জাবেদ হোসেন, যোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, মো. শামীম, আবদুর রহিম শরিফ, হাফেজ আবদুল কাদের, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রুহুল আমিন, সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, অধ্যক্ষের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি, এমরান হোসেন মামুন ও পরিকল্পনাকারী ইফতেখার হোসেন রানা।
এদের মধ্যে মামলার এজহারভুক্ত আটজনের মধ্যে সব আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ মামলায় নুসরাত হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার অন্যতম আসামি নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, আবদুর রহিম শরিফ, হাফেজ আবদুল কাদের, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন্নাহার মনি ও জাবেদ হোসেন।
গত ৬ এপ্রিল সকালে নুসরাত আলিমের আরবি পরীক্ষা প্রথমপত্র দিতে গেলে মাদরাসায় দুর্বৃত্তরা গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাঁচদিন পর ১০ এপ্রিল রাতে মারা যায়।
পরদিন ১১ এপ্রিল বিকেলে তার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ১০ এপ্রিল থেকে মামলাটির দায়িত্ব পায় বিপিআই। সেই থেকেই গ্রেফতার হতে থাকে আসামিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
এসএইচডি/এএ