ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

স্টেডিয়ামের আউটার ফিল্ড দখল করে ইট-বালুর ব্যবসা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
স্টেডিয়ামের আউটার ফিল্ড দখল করে ইট-বালুর ব্যবসা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামের আউটার ফিল্ড দখল করে ইট-বালুর ব্যবসা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: দখল ও দূষণে জনসাধারণের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামের আউটার ফিল্ড। একদিকে সারাদিন ইট ভাঙার মেশিনের কারণে শব্দ দূষণ অপরদিকে ময়লা আর্বজনার স্তূপে আউটার ফিল্ডের পরিবেশ হচ্ছে দূষিত। সারিবদ্ধভাবে খোলা আকাশের নিচে আউটার ফিল্ডেই রাখা হয়েছে ইট, বালু।

মোটর পার্টস বিক্রেতা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেন্টু মিয়া, স্থানীয় কবির মিয়া ও কালু মিয়ার নেতৃত্বে আউটার ফিল্ডটি দখল করে ইট, বালু, সুড়কির ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সম্প্রতি সেখানে ইট ভাঙার মেশিন বসিয়ে তৈরি হচ্ছে সুড়কি।

ফলে কেবল শব্দ দূষণই নয়, ধুলা-বালুতেও দূষিত হচ্ছে ওই এলাকা। এলাকাবাসীকে চরম দুভোর্গ পোহাতে হলেও দখলদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রকাশ্যে প্রতিবাদও করতে পারছেন না।

এছাড়াও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যার পর এলাকাটি মাদকসেবীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়। ফলে মাদকের ভয়াবহতা বাড়ছে পুরো এলাকাজুড়ে। মাদকের টাকা যোগাতে স্থানীয় কিশোররা ছিনতাইয়ের মতো অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছে। সম্প্রতি একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ কলেজ পড়ুয়া তিন কিশোর অপরাধীকে আটক করে।
নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামের আউটার ফিল্ড দখল করে ইট-বালুর ব্যবসাস্থানীয় এক মোটর পার্টস ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন এখানে বিপুল পরিমাণ মাদক কেনাবেচা হয়। হাত বাড়ালেই এখানে গাঁজা থেকে ইয়াবা পাওয়া যায়। দিনের বেলায় ইট ভাঙার মেশিনে কান পাতা দায়। আমরা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই।

এলাকার কলেজ পড়ুয়া কিশোর নাঈম বাংলানিউজকে বলেন, আগে আমরা এখানে খেলাধুলা করতাম। মূল মাঠে কোনো অনুষ্ঠান বা লিগের খেলা থাকলেও সবাই আউটার ফিল্ডে এসে খেলতাম। কিন্তু এখন দখলের কারণে এখানে খেলতে পারি না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল চৌধুরী মন্টু বাংলানিউজকে বলেন, আমি অসহায়। ক্ষমতাশালীদের দাপটের কারণে বেশ কয়েকবার উদ্যোগ  নিয়েও আউটার ফিল্ড দখলমুক্ত করতে পারিনি।

জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বাংলানিউজকে বলেন, দখলের বিষয়টি অনেকেই আমার কাছে বলেছে। যারা দখল করে রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।