ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নুসরাত হত্যা: রুহুল আমিনসহ দুজনকে আদালতে হাজির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৯
নুসরাত হত্যা: রুহুল আমিনসহ দুজনকে আদালতে হাজির

ফেনী: আলোচিত নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন, জাবেদ ও কামরুন নাহারকে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল ফেনীর সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারাফ উদ্দিনের আদালতে তাদের হাজির করা হয়।

পিবিআই-এর পরিদর্শক মো. শাহ আলম তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে শুক্রবার সোনাগাজী তাকিয়া রোড থেকে রুহুল আমিনকে আটক করা হয়।

আর কামরুন নাহার মনিকে ১৫ এপ্রিল সোনাগাজী থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১৭ এপ্রিল তাকে ৭দিনের রিমান্ড দেন আদালত।  

অপরদিকে  জাবেদকে ১৩ এপিল চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দিন থেকে তাকে ৭ দিনের রিমান্ড দেয়া হয়। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সারাফ উদ্দিন আহমেদের আদালতে আবার তিন দিনের রিমান্ড দেয়।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পরিদর্শক শাহ আলম জানান, জাবেদ ও কামরুন নাহার মনি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেবেন।  

আর রুহুল আমিনের জন্য আদালতের কাছে রিমান্ড আবেদন করা হবে।  

এদিকে এ হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া এজাহারভুক্ত আসামি নূর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তখন জাবেদ ও কামরুন নাহার মনির নাম উল্লেখ করেন তিনি।  

তারা জানান, জাবেদ ও মনি সরাসরি কিলিং মিশনে অংশ নেয়। জাবেদ নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। মনি বোরকা সংগ্রহ ও নুসরাতের হাত-পা চেপে ধরে আগুন লাগিয়ে দেয়।

অপরদিকে ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগের রুহুল আমিন হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে জানতেন বলেও এ দুইজনের জবানবন্দিতে উঠে আসে।  

কিলিং অপারেশনের পর কিলাররা রুহুল আমিনকে ফোন করেন। তখন রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি জানি, তোমরা চলে যাও। ’ 

গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। ওই সময় সহপাঠী নিশাতকে ছাদের উপর কেউ মারধর করেছে, এমন খবর দিলে নুসরাত ওই ভবনের ছাদে যান।  

সেখানে মুখোশপরা ৪/৫ জন নুসরাতকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে করা মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেন।  

কিন্তু অস্বীকৃতি জানালে তারা নুসরাতের গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৮ এপ্রিল রাতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন নুসরাতের বড়ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।

ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত এজাহারের ৮ জন গ্রেফতারসহ মোট ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন চারজন।  

১৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সহ-সভাপতি রুহুল আমিনকেও আটক করেছে পিবিআই।  

রুহুল আমিন নুসরাতের প্রতিষ্ঠান সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি। তবে ওই কমিটি এরই মধ্যে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৯ 
এসএইচডি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad