দগ্ধ জোসনা বেগম ইলিশা ইউনিয়নের বাঘার হাওলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. জসিমের স্ত্রী। তিনি চার সন্তানের জননী।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে অগ্নিদগ্ধ ওই গৃহবধূকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে ইলিশা ইউনিয়নের বাঘার হাওলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ গৃহবধূর মা মাহফুজা বেগম বাংলানিউজকে জানান, বেশ কিছুদিন ধরে তার মেয়ে অস্বাভাবিক আচরণ করছেন। তাই তাকে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ওঝা বেলায়েত হোসেন ও তার নাতনি শিশু ওঝা রুনা বেগমের (১৩) কাছে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর জোসনার ওপর জ্বিন ভর করেছে বলে অনেকদিন ধরে চিকিৎসা করে আসছিলো রুনা। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে জ্বিন তাড়ানোর নামে জোসনার গায়ে কেরোসিন মেখে আগরবাতি ও ধূপ জ্বালিয়ে ঝাড়ফুক দেওয়ার একপর্যায়ে আগুন ধরে যায়। এসময় জোসনার ডাক-চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন এসে আগুন নেভায়। এবং তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার দুপুরে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছগির মিঞা জানান, এ ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটক করতে অভিযানে চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৯
ওএইচ/