শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবির কথা জানান।
আমবেদকারের ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে 'ড. বি আর আমবেদকার: প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ ও যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডলের ভূমিকা' শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বি আর আমবেদকার সোসাইটি বাংলাদেশ।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে শিপন রবিদাস প্রাণকৃষ্ণ বলেন, ১৮৯১ সালের ১৪ এপ্রিল ভারতের এক নিচু বর্ণের পরিবারে জন্ম নেওয়া আমবেদকার ছিলেন নিন্মবর্গের মানুষের অবিসংবাদিত নেতা। তথাকথিত অচ্ছ্যুত জাতিতে জন্মের পর এতো সামাজিক বৈষম্যের শিকার হওয়া সত্ত্বেও আমবেদকার গৌরবের চরম শিখরে আরোহন করেছিলেন।
আমবেদকার আজীবন সমাজের দলিত তথা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে সোচ্চার ছিলেন। মানবতাবাদী, আজন্ম সংগ্রামী ও গণমানুষের কণ্ঠস্বর ছিলেন তিনি। বাংলাদেশেও আমবেদকারকে নিয়ে আরো বেশি গবেষণা, অধ্যয়ন ও জানা দরকার। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ অনেকটা এগিয়ে যেতে পারবে বলে মত দেন শিপন রবিদাস।
বক্তারা আরো বলেন, বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বৈষম্য। সমাজ থেকে উঁচু-নিচু, ধনি-গরীবের এ বৈষম্য দূর করতে না পারলে সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করতে আমবেদকার ও যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডলের আদর্শ হতে পারে অনুকরণীয়।
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক এম দেলওয়ার হোসেন বলেন, আমবেদকার ও যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডলকে বাদ দিয়ে জাতপাতহীন ব্রাহ্মন্যবাদ বিরোধী একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চিন্তা করা যায় না। বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম রেখে গণতান্ত্রিকভাবে এগিয়ে নিয়ে সব মানুষের মুক্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে যোগেন্দ্র মণ্ডলের উদ্যোগ, সংগ্রাম এবং আববেদকারের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে।
সবাই মিলে ব্রাহ্মন্যবাদ নিপাত করে আধুনিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৯
পিএম/এএ