ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

আটক করে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৯
আটক করে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

গাজীপুর: গাজীপুরে চাঁদাবাজির মামলায় আটক করে ভয় দেখিয়ে এবং চার্জশিট থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে। 

গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার উলুখোলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মোহাম্মদ গোলাম মাওলার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।  

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পূবাইল থানার বিন্দান এলাকার মো. ইউনুছ আলীর ছেলে মো. রিয়াজুল ইসলাম গত ১৩ এপ্রিল গাজীপুরের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত এ অভিযোগ করেন।

 

ভুক্তভোগী রিয়াজুল অভিযোগে জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে কালীগঞ্জ উপজেলার উলুখোলা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে উলুখোলা ব্রিজ থেকে তাকে ধরে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যান এসআই গোলাম মাওলা। রিয়াজুলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলার ওয়ারেন্ট আছে বলে তাকে আদালতে পাঠানো এবং রিমান্ডে নেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন ওই এসআই। তবে মামলার বিষয়টি ভিকটিম রিয়াজুল কিছুই জানতেন না। একপর্যায়ে রিয়াজুলের বাবা দাবিকৃত ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ওই এসআইকে দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।  .এছাড়া মামলার চার্জশিট থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে আরো ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করতে বলেন। এরপর আবার গত ২৮ মার্চ বিকেলে রিয়াজুলকে উলুখোলা অটোস্ট্যান্ড থেকে ওই ক্যাম্পের কনস্টেবল শাকিল ডেকে ক্যাম্পে নিয়ে যান। পরে এসআই গোলাম মাওলা তার কাছে বাকি ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে আদালতে পাঠানোর ভয় দেখান। খবর পেয়ে রিয়াজুলের চাচা মো. আতাউর রহমান ১৮ হাজার টাকা নিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেন। খোঁজ খবর নিয়ে ভিকটিম রিয়াজুল ও তার পরিবার জানতে পারে মো. বাবুল করিম নামে এক ব্যক্তি তাকেসহ ছয়জনের নামে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় তাকে চার নম্বর আসামি করা হয়েছে।  

রিয়াজুল আরো বলেন, মিথ্যা মামলা সাজিয়ে তাকে হয়রানি করছে ওই এসআই। এ ব্যপারে তিনি গাজীপুরের পুলিশ সুপার বরাবর উলুখোলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই গোলাম মাওলার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিয়েছেন।  

মামলার বাদী বাবুল করিম বলেন, মোয়াজ উদ্দিন গ্রুপের অডিটর হিসেবে তিনি কর্মরত রয়েছেন। তার কোম্পানির ২৫ বিঘা জমির সীমানা প্রাচীর শেষে উন্নয়নমূলক কাজ করা হচ্ছে। এসময় জাকির হোসেন (৩০), রুবেল (৩০), শামীম (৩০), রিয়াজুল ইসলাম (২৮), জনি সরকার (৩১) ও কাকন (২৭) সহ আরো সাত/আটজন ওই জমিতে গিয়ে চাঁদা দাবি করেন এবং নিরাপত্তা কর্মীদের মারধর করে হুমকি দেন। এ ঘটনায় গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর তিনি বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। তবে মামলার চার নম্বর আসামি রিয়াজুলকে তিনি চেনেন না বলে জানান। থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে মামলায় তার নাম দিয়েছে।  

এ ব্যাপারে উলুখোলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই গোলাম মাওলা বলেন, মামলার বাদী রিয়াজুলের নামে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন। তবে তাকে কখনো আটক অথবা তার কাছ থেকে কোনো অর্থ নেওয়া হয়নি। কি কারণে তিনি অভিযোগ দিয়েছেন বুঝতে পারছি না।  

লাদেশ সময়: ০৮৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৯
আরএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।