শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীজোটের ব্যানারে রাজধানীর শাহবাগে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীজোটের আহ্বায়ক শিবলী হাসান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৬ এপ্রিল নুসরাত জাহান রাফির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে গ্রেফতার হওয়া একাধিক আসামির জবানবন্দি থেকে জানা যায়, ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার নির্দেশে এ ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আসামিদের হয়ে কাজ করেছেন সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন।
এছাড়াও সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনসহ আরো বেশ ক’জনের নাম এসেছে, যারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
এদিকে, নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর একে আত্মহত্যার চেষ্টা বলে প্রচারের কাজে দায়িত্ব দেওয়া হয় স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিককেও। তাদের দায়িত্ব ছিলো নিজ নিজ গণমাধ্যমে এ ঘটনাকে আত্মহত্যার চেষ্টা বলে প্রচার করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজ নিজ আইডি থেকে অপপ্রচার চালানো। ইতোমধ্যে ওসি মোয়াজ্জেমের নামে মামলা হয়েছে। কিন্তু এখনো তাকে গ্রেফতার করা হয়নি।
অপরদিকে বুধবার (১৮ এপ্রিল) ফেনী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জাহাঙ্গীর আলম ওসি মোয়াজ্জেমকে রক্ষায় পুলিশ সদর দফতরে এক চিঠি দিয়েছেন, যেখানে নুসরাতের পরিবারকে দোষারোপ করা হয়েছে। এসপি ওসিকে বাঁচানোর জন্য যে চিঠি দিয়েছেন, তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক।
সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণে এটা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, এ হত্যাকাণ্ডটি অনেক সুপরিকল্পিত এবং অনেক অপরাধীকে বাঁচানোর চেষ্টা এখনো চলছে। এখন পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন, ওসি মোয়াজ্জেমসহ অনেক অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়নি। তাই যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীজোট সার্বিক বিষয় মাথায় রেখে বিকেল ৪টায় শাহবাগে নাগরিক অবস্থানের ডাক দিয়েছে।
নুসরাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত সোনাগাজীর ওসি মোয়াজ্জেমসহ সব অপরাধীদের গ্রেফতার এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে নারী নিপীড়ন ও ধর্ষণ রোধে কার্যকরী পদক্ষেপের দাবিতে এ নাগরিক অবস্থান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৯
আরবি/