বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার গুতিয়াখালী চর থেকে আবুল কাশেমকে অচেতন অবস্থায় ও নিহত শাহিদাকে ঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। বর্তমানে কাশেম পুলিশ পাহারায় আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত শাহিদা খাতুন উপজেলার কোদন্ডা আদর্শ গ্রামের মাজেদ গাজীর মেয়ে এবং ঘাতক আবুল কাশেম একই গ্রামের মৃত নওশের মোল্যার ছেলে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কাশেম বাংলানিউজকে জানান, তিনি একজন ইটভাটা শ্রমিক। প্রায় আট মাস আগে পারিবারিকভাবে শাহিদার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এর কিছুদিন পর তিনি খর্নিয়া ইটভাটায় কাজ করতে চলে যান। এরমধ্যে তিনি বাড়িতে এলেও স্ত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ভাল যাচ্ছিল না।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বাড়িতে আসলেও তাদের মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়নি। বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে শাহিদা ঘরে না আসায় তাকে জোর করে ঘরের ভেতর আনলে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শাহিদাকে তিনি শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তাকে খাটে কাঁথা দিয়ে ঢেকে মশারি টাঙিয়ে ঘর থেকে তিনি বেরিয়ে যান। পরে তিনি নিজেও আত্মহত্যার জন্য বিষপান করেন।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বাংলানিউজকে জানান, শাহিদারা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক আবুল কাশেমকে পুলিশ পাহারায় আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
এমআরএ/এনটি