ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আগামী দিনে শক্তির মূল উৎস সৌরশক্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
আগামী দিনে শক্তির মূল উৎস সৌরশক্তি আমার গ্রাম, আমার শহর বিনির্মাণে নবায়নযোগ্য শক্তির ভূমিকা' শীর্ষক সেমিনার/ছবি: শাকিল

ঢাকা: আগামী দিনে শক্তির অন্যতম উৎস হবে সোলার এনার্জি বা সৌরশক্তি। তাই সৌরশক্তিকে কাজে লাগতে এই খাতে বিনিয়োগ ও উন্নয়নের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘আমার গ্রাম, আমার শহর বিনির্মাণে নবায়নযোগ্য শক্তির ভূমিকা' শীর্ষক এক সেমিনারে সৌরশক্তিকে কেন্দ্র করে আগামী দিনে শক্তির রূপরেখা তৈরির আহ্বান জানানো হয়।

বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশন (বিএসআরই) আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুল মান্নান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রাইভেটখাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

সভাপতিত্ব করেন বিএসআরই সভাপতি দিপল সি বড়ুয়া।  

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমাদের গ্রামগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরে পরিণত হবেই। এতে দ্বিমত বা বিতর্কের অবকাশ নেই। যেভাবে প্রযুক্তি ও শিক্ষা অগ্রসর হচ্ছে তাতে গ্রামের মানুষেরা নিজেদের রূপান্তর করবে। কিন্তু আমরা যেটা করতে পারি তা হলো এটিকে দ্রুত ও নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে করতে পারি। সরকার এই রূপান্তরকে ভেতর থেকে বেগবান করছে।  

আগামী দিনে সৌরশক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা যাই করি না কেন সবকিছুর যোগানদার তার কাছে যেতে হবে। আর যোগানের মূল উৎস হচ্ছে শক্তি। তাই আমাদের শক্তি-সামর্থ্য অর্জন করতে হবে। আগামী দিনে সবুজ ও পরিষ্কার শক্তির অন্যতম উৎস হবে সোলার এনার্জি। তাই এই খাত নিয়ে এখনই কাজ শুরু করতে হবে।  

সেমিনারের বিশেষ অতিথি সালমান এফ রহমান বলেন, 'আমার গ্রাম, আমার শহর ' এটা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। এটা প্রধানমন্ত্রীর মিশন ও ভিশন। আর কীভাবে এই খাতে কাজ করা যায় তার জন্য এ ধরনের আয়োজন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা দেয়। তবে আমরা এই খাতে আরও আগে থেকেই কাজ করছি। আমরা হয়তো সেভাবে জানি না যে, সোলার হোম তৈরিতে বাংলাদেশ পৃথিবীতে এক নম্বর দেশ।  

গ্রামে নগরের সুবিধা নেওয়ার পাশাপশি শহর অঞ্চলের নানাবিধ সমস্যা উলটো গ্রামে চলে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, আমরা শহরের সুবিধাগুলো গ্রামে নিয়ে যেতে চাচ্ছি কিন্তু চলে যাচ্ছে অসুবিধা। আমরা না চাইলেও অনিচ্ছাকৃতভাবে শহরের অসুবিধাগুলো গ্রামে চলে যাচ্ছে।  

‘শহরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। এছাড়াও প্রতিটি গ্রামে এখন ইজিবাইক চলে। এগুলোর কারণে প্রচুর বিদ্যুৎ শক্তির অপচয় হচ্ছে। সবকিছুকে পরিকল্পনা ও নিয়মের ছকে নিয়ে আসতে হবে। ’ 

এর আগে সেমিনারে কি নোট স্পিকার হিসেবে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব। তিনি বলেন, গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করা আর গ্রামে শহরের নাগরিক সুবিধাগুলো নিয়ে যাওয়া; এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে। আমার গ্রাম, আমার শহর মানেই এই নয় যে গ্রামকে ধ্বংস করে শহর করতে হবে। বরং আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে, গ্রামকে গ্রামের মতো রেখে আধুনিক অবকাঠামো তৈরি করতে হবে যেন গ্রামে শহরের নাগরিক সুবিধাগুলো থাকে।  

প্রতিবছর গ্রাম থেকে প্রায় ৮ শতাংশ মানুষ নতুন করে শহরে এসে বসবাস শুরু করে জানিয়ে ইকবাল হাবিব বলেন, গ্রামে নাগরিক সুবিধা নেই বলে সেখানকার মানুষ শহরে আসে। এটা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে গ্রামে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। গ্রামের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য সেখানেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা গেলে শহরে বাইরের মানুষের চাপ কমবে।  

সেমিনারে বিদ্যুৎখাত সংশ্লিষ্ট সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও দপ্তর এবং বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেসরকারি খাতের বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
এসএইচএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।