ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই পাকা সড়ক নির্মাণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই পাকা সড়ক নির্মাণ

সিরাজগঞ্জ: মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে পাকা আরসিসি ঢালাইয়ের সড়ক। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব মোহনপুর গ্রামের এ সড়কটি গত বছরের ডিসেম্বরে নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এখনো অপসারণ করা হয়নি বৈদ্যুতিক খুঁটি দু’টি। ফলে ওই রাস্তায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, যানবাহন চলাচলের জন্য রাস্তাটি নির্মাণ হলেও মাঝখানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বৈদ্যুতিক খুঁটি।

এলাকাবাসী জানায়, যমুনা নদী বিধৌত পূর্ব মোহনপুর গ্রামবাসীর চলাচলের জন্য একমাত্র এ সড়কটি সম্প্রতি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ।

এ সড়কের মাধ্যমে সরাসরি সয়দাবাদ মহাসড়ক ও সিরাজগঞ্জ সদরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হয়। কিন্তু ছোট ও মাঝারি যান চলাচলের জন্য নির্মিত সড়কটির মাঝখানে দু’টি স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে জনগণকে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম রেজা বাংলানিউজকে বলেন, এ সড়কটি এলাকাবাসীর কোনো কাজে আসছে না। মাঝখানে খুঁটি থাকলে যানবাহন চলবে কীভাবে? তিনি অভিযোগ করে বলেন, সড়কটি নির্মাণে অনেক অনিয়ম হয়েছে। সয়দাবাদ শিল্প পার্ক অফিসের সামনে থেকে পূর্ব মোহনপুর ঈদগাহ মাঠ পর্যন্ত সড়কটি নির্মাণ করার কথা থাকলেও প্রায় ২০০ ফুট বাকি রেখেই কাজ শেষ করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সয়দাবাদ শিল্প পার্ক অফিস-পূর্ব মোহনপুর পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কটির প্রস্থ ৮ ফুট। সম্পূর্ণ আরসিসি ঢালাই করা রাস্তাটির নির্মাণে ব্যয় হয় এক কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এটি একসময় শুধু হাঁটার রাস্তা ছিল। আগের চেয়ে অনেক প্রশস্ত করার কারণে মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়েছে। তবে সড়কটির দৈর্ঘ্য যা ধরা হয়েছে তার চেয়ে ৫ মিটার বেশি করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

ঠিকাদার মোনায়েম শেখ বাংলানিউজকে বলেন, বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণের জন্য আমাদের কোনো বরাদ্দ নেই। তারপরও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর ও বেলাল হোসেন খুঁটি অপসারণের জন্য বার বার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি টাকা দাবি করার কারণে খুঁটি অপসারণ হয়নি। বাধ্য হয়ে খুঁটি মাঝখানে রেখেই রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছে।  

সদর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের প্রকৌশলী বদরুজ্জোহা বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তাটির নির্মাণ কাজ চলাকালে পল্লি বিদ্যুৎ বিভাগকে অবহিত করা হলেও খুঁটির অপসারণ করা হয়নি। তবে গত সপ্তাহে তারা এসে দেখে এক সপ্তাহের মধ্যে খুঁটি অপসারণ করার কথা বলেছেন।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর মহা-ব্যবস্থাপক কামরুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যুতের খুঁটি মাঝখানে রেখে রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি আমরা পরে জেনেছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ আমাদের কোনো চিঠি দেয়নি। এজন্য খুঁটি অপসারণ হয়নি। খুঁটি মাঝখানে রেখেই তারা রাস্তাটি নির্মাণ করেছে। এখন আর ওই খুঁটি মাটি খুঁড়ে তোলা সম্ভব নয়। তবে ওটাকে কেটে ওখান থেকে অপসারণ করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।