মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
হৃদয় নোয়াখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম শহরের হাউজিং সোসাইটি এলাকায় একটি মেসে থাকেন। তিনি গ্রেফতার হৃদয়ের বাড়িতে গিয়ে তার ছোট বোনকে প্রাইভেট পড়াতেন। গত ২ মার্চ রাত পৌনে ৯টার দিকে ভিকটিম হৃদয়ের বোনকে পড়িয়ে মেসে ফিরছিলেন। পথে জেলা শিল্পকলা একাডেমির কাছে তার পথরোধ করে হৃদয়। হৃদয় তাকে মোটরসাইকেলে উঠতে বলেন। তবে ভিকটিম তার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে হাঁটা শুরু করেন। তখন হৃদয় তার হাত ধরে টানাটানি করেন ও শ্নীলতাহানির চেষ্টা করেন। পরে মাথায় আঘাত করলে ভিকটিম রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে যান। এ অবস্থায় হৃদয় ভিকটিমকে অপহরণ করার চেষ্টা করেন। এতে স্থানীয়রা বাধা দিয়ে ভিকটিমকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
ঘটনার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অভিযুক্ত হৃদয় বিভিন্ন সময় ভিকটিমকে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দেন। এতে তিনি মানসিকভাবে আঘাত পেয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন।
পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা এবং চট্টগ্রাম নেওয়া হয়। চট্টগ্রামের চিকিৎসা শেষে ভিকটিম শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, মঙ্গলবার ভিকটিম শ্লীলতাহানির অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করার পর পুলিশ মামলাটি আমলে নিয়ে হৃদয়কে গ্রেফতার করে।
ভিকটিম নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী। তার গ্রামের বাড়ি জেলার সদর উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
আরবি/