মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিতীয় দফা বৈঠকে তিনি এ সহযোগিতা চান।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে রাখাইন রাজ্যে দ্রুত প্রত্যাবাসন উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
চীনের মন্ত্রী বলেন, তারা এ বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। চীন মনে করে বিষয়টি সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের আরও আলোচনা চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ বিশেষ করে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) এবং ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনডিপি) পজিটিভ ভূমিকা পালন করা উচিত। তিনি এ ব্যাপারে আসিয়ানের পজিটিভ ভূমিকা পালনকে সাধুবাদ জানান।
আলোচনায় উভয়পক্ষ অভিমত ব্যক্ত করেন যে, বন্ধুপ্রতিম বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী দেশ হিসেবে চীন বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, বাংলাদেশের ভূমিতে যেকোনো দেশের সন্ত্রাস এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদেশি গ্রুপ কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। একইভাবে চীনের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য হবে।
সভা শেষে দু’দেশের মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং বেইজিং মিউনিসিপ্যাল পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরোর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
সভায় বাংলাদেশ দলের ১৯ সদস্যের প্রতিনিধির মধ্যে অন্যরা হলেন- জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম ফজলুল করিম, আইজিপি ড. মো. জাবেদ পাটোয়ারী, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, বিজিবির ডিজি মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম, ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
এমএইচ/আরবি/