আর্মড পুলিশ কর্তৃপক্ষ সেদিনের সিসিটিভির ফুটেজের রিভিউ করে দেখে, লাগেজ বুঝে নেওয়ার সময় এক ব্যক্তির সঙ্গে তার হ্যান্ডব্যাগটি অদল-বদল হয়ে গেছে। তখন সেই ব্যক্তিকে বিমানবন্দর থেকে নিয়ে যাওয়া গাড়ির চালককে খুঁজে বের করে আর্মড পুলিশ।
হাবীব এ বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশ বিমানে সৌদি আরব থেকে আসি। সে সময় আমার হ্যান্ডব্যাগটি বদল হয় যায়। পুলিশের সহায়তায় তিন দিন পর আমার ব্যাগ ফেরত পাই। আমার হ্যান্ডব্যাগে প্রায় এক লাখ টাকার স্বর্ণ ও কিছু খাবার ছিল। পরিবারের জন্য এনেছি।
এ বিষয়ে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন্স অ্যান্ড মিডিয়া) মো. আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, যাত্রীদের অভিযোগ পেলে তাদের মালামাল উদ্ধারে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে থাকি। হাবীবের হ্যান্ডব্যাগ খোয়া যাওয়ার অভিযোগের পর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হই যে, কাস্টমসের লাগেজ চেকিংয়ে এক যাত্রীর সঙ্গে তার ব্যাগ অদল-বদল হয়ে যায়। বিমানবন্দরের বেশিরভাগ গাড়ির নম্বর আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। নম্বর থেকে সেই গাড়ির মালিককে বলে চালককে খুঁজে বের করি। চালক আমাদের নিয়ে যায় সেই যাত্রীর বাড়িতে। ১৫ এপ্রিল আমরা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে সেই ব্যাগটি নিয়ে আসি।
আলমগীর হোসেন আরও বলেন, বিমানবন্দরে কোনো কিছু হারিয়ে গেলে খুঁজে পাওয়া যায় না- এ কথা অতীত। আমরা যাত্রীদের মালামাল খুঁজে পেতে খুবই আন্তরিক। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই কাজ শুরু করি। বর্তমানে প্রায় শতভাগ হারিয়ে যাওয়া মালামাল খুঁজে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৯
এমএমআই/এইচএ/