মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে খুলনা জেলা কারাগারে এ অভিযান চালায় দুদক। দুদকের খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল বাংলানিউজকে বলেন, দর্শনার্থীদের কাছ থেকে ১০০/৩০০ টাকা আদায়, কায়েদি বা হাজতিদের নিম্নমানের খাবার সরবরাহ ও সুস্থদের তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে মেডিকেল ওয়ার্ডে রাখার অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা কারাগারে অভিযান চালানো হয়।
‘কারা বিধি অনুযায়ী কায়েদি বা হাজতিদের খাবার সরবরাহ করা হয়। এ কারণে নিম্নমানের খাবার সরবরাহের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে বাকি দুটি অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। ’
তিনি বলেন, কারাগারের অভ্যন্তরের মেডিকেল ওয়ার্ডে কোনো চিকিৎসক নেই। মেডিকেল অফিসার ছাড়াই মেডিকেল ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি করা হয়। কিসের ভিত্তিতে করা হয় এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কোনো ব্যাখা পাওয়া যায়নি।
যেসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে সে বিষয়ে কারারক্ষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক ফয়সাল কাদের, পরিদর্শক শ্যামল চন্দ্র সেন। তবে এই বিষয়ে জেল সুপার কামরুল ইসলাম কোনো কথা বলেননি।
এদিকে, দুদকের অভিযানের ফলে দুর্নীতিগ্রস্ত কারারক্ষী ও পুলিশের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বাংলাদেশসময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৯
এমআরএম/এমএ