মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষা শেষে তাকে আটক করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই’র পরিদর্শক শাহ আলম বাংলানিউজকে জানান, আটক জান্নাতুল আফরোজ মনি সোনাগাজী উপজেলার পালগিরী গ্রামের বদির আহম্মদ ভূঞাঁ বাড়ির সালেহ আহম্মদের মেয়ে।
জান্নাতুলকে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলেও জানান পরিদর্শক শাহ আলম।
গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এর আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় তারা।
পরে আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে নুসরাত মারা যায়।
শ্লীলতাহানির মামলায় আগে থেকেই কারাবন্দি ছিলেন সিরাজ উদদৌলা। হত্যা মামলা হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ১৩ জন গ্রেফতার হয়েছে। এর মধ্যে সিরাজ উদদৌলার ‘ঘনিষ্ঠ’ নুর উদ্দিনকে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে এবং শাহাদাত হোসেন শামীমকে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে মুক্তাগাছা থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই। নুসরাত হত্যা মামলার ২নং আসামি নুর উদ্দিন এবং ৩ নং আসামি শামীম।
বাকি আসামিদের মধ্যে সিরাজ উদদৌলাসহ ১১ জন রিমান্ডে রয়েছেন। এদের মধ্যে সাত দিনের রিমান্ডে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা, জাবেদ হোসেন, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, আবছার উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম, পাঁচদিনের রিমান্ডে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা মকসুদ এবং উম্মে সুলতানা পপি ও যোবায়ের হোসেন।
এছাড়া আটক রয়েছেন নুসরাতের সহপাঠী শামীম, কামরুন নাহার মনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৯
এসএইচডি/আরআইএস/