সোমবার (১৫ এপ্রিল) দিনগত রাতে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
জানা যায়, আটককৃত মনি সোনাগাজী বাসস্ট্যান্ডের ঈমান আলী হাজী বাড়ির মরহুম বিডিআর আজিজুল হকের পালিত মেয়ে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক শাহ আলম এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশি বলেন, পুলিশ মনিকে আটক করে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়।
গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এর আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় তারা।
পরে আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে মারা যায় নুসরাত।
শ্লীলতাহানির মামলায় আগে থেকেই কারাবন্দি ছিলেন সিরাজ উদ-দৌলা।
এছাড়া হত্যা মামলা হওয়ার পর এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ১৩ জন। এদের মধ্যে সিরাজ উদ-দৌলার ‘ঘনিষ্ঠ’ নুর উদ্দিনকে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে এবং শাহাদাত হোসেন শামীমকে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে মুক্তাগাছা থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই। নুর উদ্দিন নুসরাত হত্যা মামলার দুই নম্বর এবং শামীম তিন নম্বর আসামি।
বাকি আসামিদের মধ্যে সিরাজ উদ-দৌলাসহ ১০ জন রিমান্ডে রয়েছেন। এদের মধ্যে সিরাজ উদ-দৌলা ও জাবেদ হোসেন সাত দিনের রিমান্ডে এবং আওয়ামী লীগ নেতা মকসুদ, নুর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, আবছার উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম, উম্মে সুলতানা পপি ও যোবায়ের হোসেন পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৯
এসএইচডি/এসএ