ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আমবাগানে পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ স্থগিত চান রাষ্ট্রপক্ষ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৯
আমবাগানে পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ স্থগিত চান রাষ্ট্রপক্ষ

ঢাকা: রাজশাহীসহ দেশের বড় আমবাগানে কেমিক্যালের ব্যবহার রোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনে হাইকোর্টের নির্দেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের আদালত এ আবেদনের শুনানির জন্য মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিন ঠিক করেছেন।
 
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

পরে মনজিল মোরসেদ জানান, রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের নির্দেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে। এ আবেদনের শুনানির জন্য সময় চাওয়ার প্রেক্ষিতে আদালত মঙ্গলবার শুনানির জন্য দিন রেখেছেন।

গত ৯ এপ্রিল আইনজীবী মনজিল মোরসেদের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রাজশাহীসহ দেশের বড় আমবাগানে কেমিক্যালের ব্যবহার রোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনে  নির্দেশ দিয়েছেলেন।

ওইদিন মনজিল মোরসেদ জানান, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজির প্রতি এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে একটি পর্যবেক্ষণ টিম ফলের বাজার ও গুদামে মনিটর করবে যাতে সারাদেশে কেউ কেমিক্যাল ব্যবহার করে আম পাকাতে না পারে। পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিএসটিআই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআই-এর পরিচালক (কেমিক্যাল টেস্টিং উইং) এ আদেশ বাস্তবায়ন করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।

আবেদনের বিবাদীরা হচ্ছেন- শিল্প সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, খাদ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিএসটিআই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআই-এর পরিচালক (কেমিক্যাল টেস্টিং উইং), রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এবং এনবিআর চেয়ারম্যান।

মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, এক আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি আমবাগানের বিষয়ে সাত দফা নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্ট রায় দেন। কিন্তু হঠাৎ করে আমরা দেখছি গতবছরের কেমিক্যাল ব্যবহারের প্রবণতা। এ কারণে আবেদন করেছি নির্দেশনাটা পুনরায় দেয়ার জন্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৯
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।