রাজশাহী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ৯টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়ে রিভারভিউ কালেক্টরেট স্কুলে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান ও জেলা প্রশাসক এস এম আবদুল কাদেরসহ সরকারি বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাঙালি প্রাণের উৎসব হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ একাত্ম হয়ে দিনটি পালন করে।
তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দিনটিকে আরও বেশি তাৎপর্যময় করতে নববর্ষ ভাতা প্রদান করছেন। এতে করে আরও বেশি উৎসাহ ও আনন্দ নিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে বর্ষবরণের এ দিনটিকে প্রাণভরে উপভোগ করতে পারছেন।
এদিন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবার, শিশু সদন (এতিম খানায়) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শিশু পরিবারে শিশুদের নিয়ে ঐতিহ্যবাহী বাঙালি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কারাবন্দিদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং কয়েদিদের তৈরি বিভিন্ন দ্রব্যাদির প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্ব-স্ব ব্যবস্থাপনায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন করছে। সকালে জেলা প্রশাসনের মঙ্গল শোভাযাত্রার পর রাজশাহী কলেজ থেকেও বর্ষবরণ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। একইসময় রাজশাহী সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট মহানগরের আলুপট্টি থেকে শোভাযাত্রা বের করে।
এদিকে, বর্ষবরণ উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ পাঠকদের মধ্যে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট/একাডেমি তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সকাল থেকে তাদের অনুষ্ঠান চলছে। এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজশাহী বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান, চিড়িয়াখানা এবং জিয়া পার্ক সর্বসাধারণের জন্য বিনা টিকেটে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গোয়েন্দা শাখা) একরামুল হক বলেন, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে ঘটতে না পারে সেজন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। যেসব স্থানে বৈশাখের অনুষ্ঠান চলছে সেসব স্থানে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৯
এসএস/আরবি/