ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অধ্যাপক শফিউল হত্যা মামলার রায় ১৫ এপ্রিল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৯
অধ্যাপক শফিউল হত্যা মামলার রায় ১৫ এপ্রিল অধ্যাপক ড. একেএম শফিউল ইসলাম লেলিন, ফাইল ফটো

রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রয়াত অধ্যাপক ড. একেএম শফিউল ইসলাম লেলিন হত্যা মামলার রায় আগামী ১৫ এপ্রিল ঘোষণা করা হবে।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ মামলার যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করা হয়।

শেষে ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার রায়ের এই দিন ধার্য করেন।

ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাংলানিউজকে বলেন, মামলায় মোট ৩৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছে। গত ১৩ মার্চ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে তিনি যুক্তি উপস্থাপন করে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।

অপরদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জানান, রাষ্ট্রপক্ষ মামলায় আসামিরা যে জড়িত, তা প্রমাণে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। ফলে রায়ে আসামিরা বেকসুর খালাস পাওয়ার দাবি রাখেন। আসামিপক্ষে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট একরামুল হক, মিজানুল ইসলাম, আবু বাক্কার, রাইসুল ইসলাম ও আব্দুল মালেক রানা।

দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী এই মামলার চার্জশিটে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব শাখায় কর্মরত নাসরিন আখতার রেশমার সঙ্গে শফিউল ইসলামের দ্বন্দ্বের জের ধরেই তার স্বামী যুবদল নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। পরে নাসরিন আখতারও বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, আব্দুস সালাম পিন্টু, পিন্টুর স্ত্রী নাসরিন আখতার রেশমা, যুবদল নেতা আরিফুল ইসলাম মানিক, সবুজ শেখ, সিরাজুল ইসলাম কালু, আল-মামুন, সাগর, জিন্নাত আলী, ইব্রাহীম খলীল ও আরিফ।

এর আগে ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ড. শফিউল ইসলাম লেলিনকে। পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মুহাম্মদ এন্তাজুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ওই বছরেরই ২৩ নভেম্বর যুবদল নেতা আব্দুস সামাদ পিন্টুসহ ছয় জনকে ঢাকা থেকে আটক করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। পরে পিন্টুর স্ত্রী নাসরিন আখতারকে আটক করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে রেশমা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন।

ঘটনার এক বছর পর ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর ডিবি পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক রেজাউস সাদিক আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এতে রাজশাহী জেলা যুবদলের তৎকালীন আহ্বায়ক জেলা বিএনপির বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জলসহ ১১ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই মামলার একজন ছাড়া ১০ আসামি বর্তমানে জামিনে আছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৯
এসএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad