সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত তারা তাপবিদুৎ কেন্দ্রর প্রধান ফটকে সমবেত হয়ে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা বলেন, তারা তাপবিদুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটের উন্নয়ন শ্রমিক।
শ্রমিকরা আরও বলেন, তাদের আন্দোলনের ফলে এখন তৃতীয় পক্ষের অধীনে ১৫৪ জন শ্রমিককে নিয়োগ দেয়ার সব প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হওয়ার পরেও একটি অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে তাদের বাদ দিয়ে বাইরে থেকে শ্রমিক এনে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করছে। তারা বাইরে থেকে শ্রমিক নিয়োগ করা বন্ধ করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের নিয়োগ দেয়ার দাবিতে বড়পুকুরিয়া তাপবিদুৎ কেন্দ্রের প্রধান ফটক অবরোধ করেন।
বড়পুকুরিয়া শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের সভাপতি হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আন্দোলনরত শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আন্দোলনরত তৃতীয় পক্ষের অধীনে নিয়োগ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অথচ অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে আন্দোলনরত শ্রমিকদের নিয়োগ না দিয়ে তাপবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ টালবাহনা করছে। এ কারণে সব শ্রমিকের নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তারা এ অবোরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যুৎ বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষের অধীনে জনবল নিয়োগের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই নিয়োগের কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এদিকে শ্রমিক আন্দোলনকে সামনে রেখে তাপবিদুৎ কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৯
আরএ