রোববার (৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে এগারোটায় এ সংবাদ সম্মেলনে এ অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাবুল খান বলেন, আমার ছেলে শাকিল খান কবাই শিয়ালঘুনী জেইউএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণির ছাত্র ছিলো।
সংবাদ সম্মেলনে বাবুল খান বলেন, গত ২৩ মার্চ রাত দশটার দিকে তার ছোট ছেলে বাদশা ও শাকিল ঘরের বারান্দায় টিভি দেখছিলো। এসময় ওই মেয়েটি ঘর থেকে শাকিলকে ডেকে নিয়ে যায়। ওইদিন রাত সাড়ে এগারোটার সময় আমি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে ফিরে মেয়েটির বাড়িতে চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পেয়ে এগিয়ে যাই। এসময় মেয়েটির ঘরের পাশের একটি জাম গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় আমার ছেলে শাকিলের মরদেহ দেখতে পাই।
নিহতের বাবা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমার ছেলেকে মেয়েটির বাবা ও তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মেয়েটির ওড়না গলায় পেঁচিয়ে মরদেহ ঘরের পাশের গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। ঘটনার পর থেকে মেয়েটি ও তার পরিবারের লোকজনে পলাতক রয়েছে।
থানা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বাবুল খান জানান, এ ব্যাপারে তিনি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণে নানা তালবাহানা শুরু করেছে। তাই তিনি ছেলে হত্যার বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের মা রেহেনা বেগমসহ পরিবারের সদস্য, স্বজন ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৯
এমএস/এএটি