ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

স্বার্থান্বেষীরা রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করতে পারে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৯
স্বার্থান্বেষীরা রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করতে পারে

ঢাকা: রোহিঙ্গাদের মধ্যে যারা হতাশাগ্রস্ত, স্বার্থান্বেষী মহল তাদের খারাপ কাজে লাগাতে পারে- এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (০৭ এপ্রিল) নিজ কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বৈদেশিক ও কমনওয়েলথ অফিসের প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে এ শঙ্কা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।

পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা (বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক) এখানে এসেছে, হতাশ হচ্ছে বিশেষ করে তরুণরা। তাদের কাজ নেই, কর্ম নেই, দেশে ফিরতে পারবে কি না, তাদের ভবিষ্যত কি? এগুলো তাদের হতাশ করছে।

‘এই হতাশাগ্রস্ত জনগণকে স্বার্থান্বেষী মহল খারাপ কাজে ব্যবহার করতে পারে। হতাশার সুযোগ নিতে পারে। ’

মিয়ানমারকে জোরালো চাপ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিৎ মিয়ানমারকে জোরালো চাপ দেয়া; যাতে মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়।

রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশের সমস্যার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। রোহিঙ্গারা স্থানীয় জনগণের চেয়ে সংখ্যায় অনেক বেশি হয়ে গেছে।

বর্ষা মৌসুমে রোহিঙ্গাদের কষ্টকর জীবনযাপন এবং তাদের কষ্ট লাঘবে সাময়িকভাবে ভাষাণচরে আবাসনের ব্যবস্থা করতে সরকারের কার্যাক্রমের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বোঝা উল্লেখ করে ব্রিটিশ মন্ত্রী এ সংকটের সর্বশেষ অবস্থান জানতে চান।

যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের সম্পর্ক চমৎকার।

মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্য ও তার জনগণের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।  

ব্রিটিশ উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে। এখানে বিনিয়োগের আকর্ষণীয় সুযোগ সৃষ্টি করেছি আমরা।  

জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশকে সমর্থন করায় যুক্তরাজ্যের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবেলায় নিজস্ব অর্থায়নে ফান্ড গঠন ও উপকূলে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রামের করে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সারা জীবন গণতন্ত্র উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছি।

বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা (গণমাধ্যম) স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করছে।

পুননির্বাচিত হওয়া এবং টানা তিন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান বৃটিশ মন্ত্রী। তিনি আওয়ামী লীগের বিজয়কে ‘বিগ ভিক্টরি’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

এ সময় বাংলাদেশের বিপুল সম্ভবনা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মার্ক ফিল্ড। পাশাপাশি দুই দেশের সম্পর্কটা দ্রুত আরো শক্তিশালী হচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি।  

চলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে মার্ক ফিল্ড বলেন, ক্লাইমেন্ট চেঞ্জ ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে।

সাক্ষাতের সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৯
এমইউএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।