ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সড়ক দুর্ঘটনাকে এক নম্বর চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৯
সড়ক দুর্ঘটনাকে এক নম্বর চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে

ঢাকা: সড়ক দুর্ঘটনাকে এক নম্বর চ্যালেঞ্জ হিসেবে সরকারকে গ্রহণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। 

শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে নিচসার অষ্টম মহাসমাবেশে তিনি এ কথা জানান।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, একজন চালককে প্রশিক্ষণ দিতে মাত্র ১১০০ টাক খরচ হয়।

তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করতে পারলে সড়কে প্রাণহানি অনেক কমে যাবে। অনেক লাইসেন্সপ্রাপ্ত চালকও জানে না কোন রাস্তায় কতো স্পিডে গাড়ি চালাতে হবে। আমাদের আন্দোলন কোনো চালকের বিরুদ্ধে নয়। আমাদের আন্দোলন সড়ক দুর্ঘটনার বিরুদ্ধে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সড়কের বিষয়ে অনেক আন্তরিক। তিনি দেশকে এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারকে সড়ক দুর্ঘটনাকে এক নম্বর চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।   

তিনি বলেন, সড়কের উপর চাপ কমাতে হবে। এজন্য রেলপথ ও নৌপথকে গুরুত্ব দিতে হবে। আধুনিকায়ন করতে হবে। তাহলে সড়কে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কমে যাবে।  

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী (এলজিআরডি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে শর্ট টাইম, মিড টাইর্ম এবং লং টাইর্ম নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে। গাড়ি এবং চালকের ফিটনেস অবশ্যই চেক করতে হবে। চালকদের অবশ্যই প্রশিক্ষিত হতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা অনেক কারণে হয়। কারণগুলো খুঁজে বের করে সমাধান করতে পারলেই আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের সবার পছন্দের নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি নিরাপদ সড়কের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তবে আজ নিরাপদ সড়কের পাশাপাশি নিরাপদ শহর গড়ে তুলতে হবে। নিরাপদ সড়ক এবং নিরাপদ শহর গড়ে তুলতে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে।  

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ইলিয়াস কাঞ্চন ২৬ বছর ধরে নিরাপদ সড়কের জন্য কাজ করছেন। আমাদের সবাইকে একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজ করতে হবে। বাস মালিকদের চালক নিয়োগের সময় তার লাইসেন্স চেক করতে হবে। পথচারীদের সচেতন হতে হবে।  

‘পাবলিক এবং প্রাইভেট পার্টনার শিপের মাধ্যমে যানবাহন ব্যবস্থা পরিচালনা করতে হবে। পাঠ্যবইয়ের দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সড়কে সচেতনতার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাহলেই আমরা আমাদের সড়কগুলো নিরাপদ করতে পারবো। ’        
 
সকালে মহাসমাবেশের উদ্বোধন করেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।

এতে সারা দেশের ১২০টি শাখার নিরাপদ সড়ক চাই-এর সদস্যরা অংশ নেন। সন্ধ্যায় সমাবেশ শেষ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ৬ এপ্রিল ২০১৯
আরকে/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।