পাচারবিরোধী এ অভিযানে বিজিবির ১ ব্যাটালিয়নের একটি দল অংশ নেয়। ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এতে নেতৃত্ব দেন।
শনিবার (০৬ এপ্রিল) সকালে তিনিই গুলি বিনিময়ের ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবির এই কর্মকর্তা জানান, সীমান্ত পথে অস্ত্র ও মাদক পাচার হবে, এমন খবরে তারাও অস্ত্র, গোলাবারুদ, বাইনোকুলার, নাইট ভিশন গগলস এবং বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটসহ পূর্ণপ্রস্তুতি নিয়ে পদ্মা অতিক্রম করে বিজিবির চর মাজারদিয়া সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকার সীমান্ত পিলার ৫৬/২-১-এস থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে পশ্চিম বাথানবাড়ি নামক স্থানে অবস্থান নেন।
এছাড়াও অভিযানিক দলটিকে সহায়তায় পদ্মা নদীর পূর্ব পাড়ে ছয়টি ও পশ্চিম পাড়ে তিনটি বিশেষ টহল দল প্রস্তুত রাখা হয়।
ব্যাটালিয়ন সদরেও প্রস্তুত থাকে ১৫ সদস্যের একটি টহল দল। রাত দেড়টার দিকে চার-পাঁচজনের একটি পাচারকারী দল ওপ্রান্ত থেকে অস্ত্র ও মাদক নিয়ে আসার সময় পশ্চিম বাথানবাড়ি এলাকায় বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দলটিকে লক্ষ্য করে পিস্তলের গুলি ছোড়ে।
এ সময় বিজিবি সদস্যরাও আত্মরক্ষায় ১৪ রাউন্ড বল অ্যামো ফায়ার করে। এ সময় পাচারকারীরা ম্যাগজিনসহ অস্ত্র, গুলি এবং ফেনসিডিল ফেলে গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়।
টহল দল পাচারকারীদের ধাওয়া করলেও পাচারকারীরা অপরপ্রান্তে সীমান্তের ভেতরে ঢুকে পড়ে।
লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, গুলির ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া ৩টি ম্যাগজিন, আমেরিকার তৈরি দু’টি পিস্তল, ৭ রাউন্ড গুলি এবং ১২০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার এসব সরঞ্জাম পবার দামকুড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় পবার দামকুড়া থানায় বিজিবির পক্ষ থেকে পৃথক দু’টি মামলাও করা হয়েছে বলেও জানান বিজিবি’র এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৯
এসএস/জেডএস