বুধবার (৩ এপ্রিল) বলে ১১টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তের লেমুছড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। পরে তারা পিছু হটে গেল এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়।
জানা যায়, নিহত ব্যক্তি রাঙ্গামাটিতে বার্স্ট ফায়ারে সাতজন হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন জ্ঞান শংকর চাকমা। তার পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি পাহাড়ের একটি আঞ্চলিক সংগঠনের রাঙামাটি এলাকার প্রধান চাঁদা আদায়কারী বলে জানিয়েছে র্যাব-৭।
সূত্র জানায়, বাঘাইছড়ির হামলায় জড়িতরা পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাপক নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ জন্য তারা অত্যাধুনিক অস্ত্র কিনে আবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকবে এমন তথ্যের ভিত্তিতে যৌথবাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অভিযানে নামে।
সন্ত্রাসীদের একটি দল একপর্যায়ে সেনা টহলের তাড়া খেয়ে পালানোর সময় র্যাবের পাতা ফাঁদে ঢুকে পড়ে এবং ব্যাপক গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের মুখে সন্ত্রাসীরা গহীন জঙ্গলে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে এক ব্যক্তির মরদেহ সাতটি এসএমজি, ৪৩৭ রাউন্ড গুলি, ১১টি গুলির খোসা ও বেশ কিছু সরঞ্জামসহ নগদ চার লাখ ৩৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর নিরাপত্তা বাহিনী দুর্বৃত্তদের ধরতে যৌথ অভিযান শুরু করেছে, যা এখনো চলমান রয়েছে।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৮ মার্চ রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির সাজেকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে তাদের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে সাতজন নিহত হয়েছেন এবং ১৯ জন গুরুতর আহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৯
জিপি