ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মাদকের টাকা পেয়েই ওফাজ ‘সেজেছে’ জাহাঙ্গীর 

মো. রাজীব সরকার, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১৯
মাদকের টাকা পেয়েই ওফাজ ‘সেজেছে’ জাহাঙ্গীর 

গাজীপুর: মাদক কেনার টাকা দেয়ার জন্য আসামি ওফাজ উদ্দিন সেজে জেল খেটেছেন মো. জাহাঙ্গীর। গত কয়েক মাস ধরে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ওফাজ উদ্দিন সেজে বন্দি জীবন-যাপন করছেন তিনি। 

এর আগে গত ৩১ মার্চ ‘আসামি ওফাজ, জেল খাটছেন জাহাঙ্গীর’ শিরোনামে বাংলানিউজে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। মূলত এরপরই ‘আয়নাবাজি’র মতো সিনেমার ঘটনাটি সবার নজরে আসে।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মো. জাহাঙ্গীর একজন মাদকসেবী। মাদক সেবন ছাড়া আর কিছু বুঝতো না সে। মাদকের জন্য এমন কোনো হীন কাজ নেই যে সে করেনি।

আর ওফাজ উদ্দিন বনের ক্ষতি ও নানা অপকর্ম করে বেড়াতো। এ কারণে বনের দুটি মামলা, মারধর ও ভাঙচুরের একটিসহ মোট ৩টি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মাদক সেবনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে মাত্র ১১ হাজার টাকার বিনিময়ে ধূর্ত ওফাজ উদ্দিনের বদলে জেল খাটছে মাদকাসক্ত জাহাঙ্গীর।

বর্তমানে জাহাঙ্গীর কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে। জানা যায়, মাদকাসক্ত জাহাঙ্গীর কালিয়াকৈর উপজেলার খোলাপাড়া এলাকার আতর আলীর ছেলে। আর ওফাজ উদ্দিনের বাড়িও একই উপজেলায়। গ্রামের নাম চন্দ্রা বিশ্বাসপাড়া, বাবার নাম মৃত কছিম উদ্দিন।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, গত রোববার (৩১ মার্চ) একটি অনলাইন পোর্টালে (বাংলানিউজ) সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি জানতে পারি। পরে এর সত্যতা যাচাই করতে সোমবার (০১ এপ্রিল) সকালে কারাগারে বন্দি জাহাঙ্গীরকে (ওফাজ উদ্দিনের বদলে) ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় জাহাঙ্গীর স্বীকার করেছেন- যে মামলার আসল আসামি তিনি নন। এ মামলার আসল আসামি ওফাজ উদ্দিন।

‘ওফাজ উদ্দিন বিভিন্ন সময় তাকে মাদক সেবনের জন্য ১১ হাজার টাকা দেয় ওফাজ উদ্দিন। এ টাকার বিনিময়ে আদালতে গিয়ে ওফাজ উদ্দিন পরিচয় দিয়ে হাজির হন তিনি (জাহাঙ্গীর)। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। গত ২৬ জানুয়ারি থেকে এ কারাগারে বন্দি রয়েছেন ওফাজ উদ্দিন সেজে থাকা মো. জাহাঙ্গীর। ’

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সোমবার (০১ এপ্রিল) ওফাজ উদ্দিনের বদলে জাহাঙ্গীরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আদালতে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৯
আরএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।