ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাতে সিল মারার ঘটনায় ২ পুলিশ অফিসারকে বরখাস্ত করলো ইসি

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
রাতে সিল মারার ঘটনায় ২ পুলিশ অফিসারকে বরখাস্ত করলো ইসি নির্বাচন কমিশন

ঢাকা: পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে অনিয়মের কারণে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথমবারের মতো এমন গুরু শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলো সংস্থাটি।

বরখাস্ত হওয়াদের একজন হলেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. শফিকুল ইসলাম। আর অন্যজন হলেন কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামসুদ্দিন।

শফিকুল ইসলামকে বরখাস্ত করার আদেশে নির্বাচন কমিশন বলেছে, ২৩ মার্চ রাত ১২টা থেকে রাত ৪টা পর্যন্ত বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপারে জোর করে সিল মারা হয়েছে। বেআইনি কার্যক্রমটির বিষয়ে অবহিত থাকার পরও দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করে ইসির আদেশ পালনে ইচ্ছা করে ব্যর্থ হয়েছেন এবং কোনো প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।

বিষয়টি অসদাচরণ চাকরিবিধি অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হয়েছে। সেজন্য শফিকুল ইসলামকে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর ৫ ধারার ৩ উপধারা অনুযায়ী চাকরি থেকে দুই মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। বরখাস্তের আদেশটি শফিকুল ইসলামের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত হয়েছে বলে গণ্য হবে।

বরখাস্ত থাকার সময়ে তিনি খোরপোষ ভাতা পাবেন বলেও ইসির প্রশাসন অর্থ শাখার যুগ্ম সচিব মো. কামাল উদ্দিন বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে।

শুধু বরখাস্তই নয়, এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অসদাচরণের জন্য চাকরিবিধি অনুযায়ী শৃঙ্খলামূলক কার্যধারা গ্রহণ করার জন্য মহা পুলিশ পরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দিয়েছে ইসি। একইসঙ্গে কার্যক্রম গ্রহণ করে অবহিত করার জন্যও নির্দেশনায় বলেছে সংস্থাটি।

একইভাবে কটিয়াদী থানার ওসি মোহাম্মদ শামসুদ্দিনকেও নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন অনুযায়ী অসদাচরণের কারণে দুই মাসের জন্য বরখাস্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। ইসির উপ-সচিব সাবেদ উর রহমান স্বাক্ষরিত এই আদেশেও একই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, এতোদিন নির্বাচনী অনিয়মে জড়িত থাকা, অসদাচরণ ও দায়িত্ব পালনের অবহেলার কারণে কেবল প্রত্যাহার কিংবা শোকজের মধ্যে সিমাবদ্ধ থাকা হতো। এই প্রথম কোনো পুলিশ কর্মকর্তারা বিরুদ্ধে বরখাস্ত করার মতো গুরুশাস্তির দিকে গেলো ইসি।

গত ২৪ মার্চ অনিয়মের কারণে কটিয়াদী উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করে ইসি।

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পাঁচ ধাপে সম্পন্ন করছে ইসি। ইতোমধ্যে তিনটি ধাপের ভোট শেষ হয়েছে। ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপ ও ১৮ জনু পঞ্চম ধাপের ভোটগ্রহণ করবে সংস্থাটি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
ইইউডি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।