বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ গেটে ঘণ্টাব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন থেকে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ সাংবাদিক নেতারা জানান, মহান স্বাধীনতা দিবসের র্যালিতে কয়েকজন দুর্বৃত্ত লাঠি ও লোহার রড নিয়ে অংশ নেয়।
এ সময় স্থানীয়রা ওই দুই সাংবাদিককে উদ্ধার করতে গিয়ে আরও তিনজন আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাতীবান্ধা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সাজুকে রংপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় ওই দিন মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাতে ৯ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জনের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় মামলা দায়ের করেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সাজু। ওই রাতেই পুলিশ মিতু নামে একজনকে গ্রেফতার করলেও বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতারা আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব আসামিকে গ্রেফতার করা না হলে শনিবার (৩০ মার্চ) লালমনিরহাট শহরে প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণের ঘোষণা দেন।
হাতীবান্ধা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক স্বপন কুমার দের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- আহত সাংবাদিকের মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী উম্মে সুরাইয়া, প্রফেশনাল জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি এস দিলীপ রায়, সম্পাদক মাজেদ মাসুদ, প্রেস ফোর’র সদস্য সচিব মিজানুর রহমান দুলাল, মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম লালমনিরহাট শাখার সভাপতি খোরশেদ আলম সাগর, সাংগঠনিক সম্পাদক নিয়াজ আহমেদ শিপন, বিএমআই সাংবাদিক কল্যান ট্রাস্ট লালমনিরহাটের সভাপতি মাহফুজ সাজু, সম্পাদক এসআর শরিফুল ইসলাম রতন, সাংবাদিক কাজি আলতাফ হোসেন, হাতীবান্ধা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইলিয়াস বসুনিয়া পবন ও সদস্য সচিব ফারুক হোসেন নিশাত প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন শেষে একই দাবিতে সাংবাদিকরা হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুকের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯
এনটি
