ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

তারেককে ফেরত দিতে ব্রিটেনকে আইনমন্ত্রীর অনুরোধ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯
তারেককে ফেরত দিতে ব্রিটেনকে আইনমন্ত্রীর অনুরোধ আইনমন্ত্রীর সঙ্গে ব্রিটিশ হাই কমিশনারের বৈঠক। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশের আদালতে দণ্ডিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফেরত দিতে ব্রিটেনের কাছে অনুরোধ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। 

বুধবার (২৭ মার্চ) গুলশানে আইনমন্ত্রীর বাস ভবনে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট ডিকসনের মাধ্যমে দেশটির প্রতি এ অনুরোধ জানান তিনি।  

আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আদালতে দণ্ডিত আসামি তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে আছে, আমরা তাকে দুটি কারণে ফেরত চাই।

 

‘প্রথমত, তারেক একজন দণ্ডিত অপরাধী। তিনি বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পেলে তার মতো দণ্ডিত বহু আসামি ভবিষ্যতে লন্ডনে আশ্রয় নিতে পারে। এটা একটি দৃষ্টান্ত হতে পারে। দ্বিতীয়ত, আমাদের আদালত একজন অপরাধীকে শাস্তি দিয়েছে। আদালত শাস্তি দেয়ার পরে সেই অপরাধীর একমাত্র জায়গা হচ্ছে কারাগার। সে কেন বিদেশে থাকবে? এই দুটো কারণে আমরা তারেক রহমানকে ফেরত চাই। ’ 
আনিসুল হক বলেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমাদের যে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পকে রয়েছে, তাতে আমি মনে করি ব্রিটিশ হাই কমিশনার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাতে তারেক সমস্যার সমাধান হবে।  

প্রত্যুত্তরে ঢাকায় নতুন ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট ডিকসন বলেন, তারেক জিয়া কোন আইনি পন্থায় ব্রিটেনে অবস্থান করছেন, তা নিয়ে লন্ডনের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করবো।  

‘তবে তারেক জিয়াকে ফেরত দেয়া অনেক দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে।  কারণ যুক্তরাজ্যেও বিচার ব্যবস্থায় আইনগত অনেক বিষয় আছে, সেখানে আপিল করলে বিষয়টি অনেক সময় লাগবে। ’ 

তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান ইস্যুতে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক আছে, সেটা কোনো ভাবেই ক্ষুণ্ন হবে না।  

কানাডায় অবস্থানকারী বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীর বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা নূর চৌধুরীর বিষয়ে কানাডার মিনিস্ট্রি অব ইমিগ্রেশন, রিফিউজি অ্যান্ড সিটিজেনশিপের কাছে তথ্য চেয়েছিলাম, তারা দেয়নি। তথ্য না দেয়ার কারণে আমরা আদালতে গিয়েছি। ২৫ মার্চ এ বিষয়ে একটি শুনানি হয়েছে। বাংলাদেশের আইনজীবী বক্তব্য দিয়েছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল অব কানাডার পক্ষে আইনজীবী বক্তব্য দিয়েছেন। আমি শুনেছি নূর চৌধুরীর আইনজীবীও বক্তব্য দিয়েছেন। আদালত শুনেছেন এবং পরে রায় দেবেন বলে জানিয়েছেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য কাজ শুরু করবো। সেই নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পেয়েছি। এজন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। সেই পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনা করতে হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯;আপডেট: ১৩৫৬ ঘণ্টা
এসই/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ