ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘বাঙালির ঐতিহ্য ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২২ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৯
‘বাঙালির ঐতিহ্য ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে’ হাতিরঝিলে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করছেন অতিথিরা

ঢাকা: বাঙালির ঐতিহ্যকে ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, আসুন সকলে মিলে বাঙালিয়ানাকে আবার উজ্জীবিত করি। আমরা চাই নির্ভেজাল বাঙালিত্ব।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেলে স্বাধীনতা দিবসে রাজধানীর হাতিরঝিলে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। বাংলাদেশ রোইং ফেডারেশন এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

রেজাউল করিম বলেন, আসুন সকলে মিলে বাঙালিয়ানাকে আবার উজ্জীবিত করি। আমরা চাই নির্ভেজাল বাঙালিত্ব। আমাদের হাজার বছরের যে ঐতিহ্য, সেই ঐতিহ্যের বাঙালি সংস্কৃতি, চাল-চলন, পোশাক-পরিচ্ছদ, আচার-অনুষ্ঠান সবকিছুকে আমরা ধরে রাখতে চাই।

মন্ত্রী বলেন, হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন আপাদমস্তক একজন বাঙালি। তার কথা-বার্তায়, চাল-চলনে, পোশাক-পরিচ্ছদে এবং বাঙালির কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য-সবকিছুতে বাঙালিয়ানা ছিলো বঙ্গবন্ধুর বৈশিষ্ট্যের প্রধানতম দিক।

তিনি বলেন, বাঙালির যে নিজস্ব সংস্কৃতি তার অন্যতম হলো নৌকা বাইচ। গ্রামগঞ্জে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে নৌকা বাইচ বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় একটি পর্ব। নৌকা বাইচ বাঙালিদের আলাদা আনন্দ দেয় এবং বাঙালির স্বতন্ত্র পরিচয় বহন করে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এই নৌকা বাইচ বিলুপ্ত হবার পথে। আমি আনন্দিত যে, বাংলাদেশ রোইং ফেডারেশন নৌকা বাইচের ধারাকে ধরে রেখেছে এবং আমাদের ছেলে-মেয়েদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে এই জাতীয় কর্মকাণ্ডে পাঠাচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই বাঙালির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য টিকে থাকুক। আমরা চাই পাশ্চাত্য সংস্কৃতি এসে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে যেনো ধ্বংস করে ফেলতে না পারে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান বাঙালির বাঙালিত্ব টিকে থাকতে হবে। এরপর আমরা অন্য সংস্কৃতি যা কিছু ভালো সেটা গ্রহণ করবো। কিন্তু আমাদের যাত্রাগান, ভাটিয়ালী, জারি গান, কবি গান, নৌকা বাইচ, হা-ডু-ডু, গোল্লাছুট—এসব সংস্কৃতি রক্ষা করতে না পারলে আমাদের বাঙালিত্বই হারিয়ে যাবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবারে মন্ত্রী বলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে রোইং ফেডেরেশন থেকে দাবিকৃত একটি সুন্দর স্পট হাতিরঝিলে করে দেওয়া হবে।

পরে মন্ত্রী বেলুন উড়িয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা ২০১৯ এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে সংগঠনে সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় নারীদের ৪টি এবং পুরুষদের ১১টি দল অংশ নেয়।  

নারী দলের মধ্যে প্রথম হয়েছে টঙ্গী রোইং ক্লাব, দ্বিতীয় চুনকুটিয়া রোইং ক্লাব ও তৃতীয় হয় ইউনিভার্সেল রোইং ক্লাব। এদিকে পুরুষদের প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে আলীনগর রোইং ক্লাব, দ্বিতীয় নিউ গাজী রোইং ক্লাব এবং তৃতীয় হয় সিলেট নৌকা সমিতি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৯
এসএমএকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।