ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বরিশাল নগরে যাত্রী ওঠা-নামার জন্য স্ট্যান্ড হবে 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৯
বরিশাল নগরে যাত্রী ওঠা-নামার জন্য স্ট্যান্ড হবে 

ব‌রিশাল: বরিশাল নগরে যাত্রী পরিবহনের সুবিধার্থে স্ট্যান্ড করা হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) প্রদর্শনের মাধ্যমে সব পরিবহনে অর্ধেক ভাড়া নেওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।

সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণ বিষয়ক এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বরিশাল সার্কিট হাউজের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ্।

গত ২৩ মার্চ বরিশাল-বানারীপাড়া মহাসড়কে বাস-মাহিন্দ্রা সংঘর্ষে সাতজনের প্রাণহানির ঘটনায় ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এ সভার আয়োজন করা হয়। এতে নগরের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী, প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সাংবাদিক নেতা, নথুল্লাবাদ ও রুপাতলী বাস মালিক-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা, মাহিন্দ্রা-আলফা মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সভার শুরুতে সরকারি বিএম কলেজের শিক্ষার্থী এম সালাউদ্দিন আহাম্মেদ আন্দোলনকারীদের পক্ষে ১৩টি দাবি তুলে ধরেন এবং দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।  

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- কলেজছাত্রী শীলা হালদারসহ দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে পর্যাপ্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া, মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধ করা, কলেজছাত্র সুমনসহ বাকি আহতদের চিকিৎসার সু-ব্যবস্থা করা, ঘাতক বাস চালকের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা, সড়ক ও নৌপথে সব ছাত্র-ছাত্রীর হাফ ভাড়া নিশ্চিত করা, সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসমূহে ফুটওভার ব্রিজ স্থাপন এবং এগুলোর নামকরণ দুর্ঘটনায় নিহত শীলা হালদারসহ অন্যদের নামে করা, ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভারদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ, চুক্তিভিত্তিক ও সময়ভিত্তিক পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করা, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সিন্ডিকেট বন্ধ করা, সড়ক-মহাসড়ক সংলগ্ন স্কুল ও বাজারের আগে ও পরে স্পিড ব্রেকার ও জেব্রা ক্রসিং এর ব্যবস্থা করা, ট্রাফিক আইন আরও কার্যকর ও নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা, সড়ক-মহাসড়ককে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা ও তা নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা।  

সভায় রুপাতলী বাস মালিক সমিতির সভাপতি কাওসার আহাম্মেদ শিপন বাস মালিক-শ্রমিক, রাস্তা-ঘাট ও পরিবহন ব্যবস্থার বিভিন্ন প্রতিকূলতার কথা উল্লেখ করেন।

মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, গত ২৩ মার্চের ঘটনায় আহত সুমনের সব চিকিৎসা খরচ ব্যক্তিগতভাবে আমি বহন করবো এবং নিহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা নগদ প্রদান করা হবে।

এরপর তিনি সবার মতামত ও দাবি শুনে বলেন, পরিবহন ব্যবসা মূলত একটি সেবামূলক ব্যবসা, তাই সেবার মান বাড়াতে হবে। মাহিন্দ্রার একপাশ বন্ধ থাকবে, কোনোভাবেই ড্রাইভারের পাশে কোনো যাত্রী বসতে পারবেন না।

মেয়র বলেন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে ইনফ্রা পলিটেকনিক ও বিভাগীয় কমিশনার অফিসের সামনে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে, পাশাপাশি সিটির মধ্যে যাত্রী পরিবহনের স্ট্যান্ড করা হবে।

এসময় তিনি আইডি কার্ড প্রদর্শনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের সব পরিবহনে অর্ধেক ভাড়া নেওয়ার জন্য পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অনুরোধ জানালে, মালিক-শ্রমিক নেতারা তাৎক্ষণিক তা বাস্তবায়নে সম্মতি জানান এবং আগামীকাল (মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ) থেকে কার্যকর হবে বলে আশ্বাস দেন।  

পরে মেয়র পরিবহনে শিশুশ্রম বন্ধ করার অনুরোধ করেন এবং প্রতিটি পরিবহনে একটি করে হট লাইন নম্বর প্রদর্শন করতে বলেন।  

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার রাম চন্দ্র দাস, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোশারফ হোসেন, জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলা‌দেশ সময়: ০৬৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৯
এমএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।