ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

‘বঙ্গবন্ধু হত্যার রাতে মার্কিন ও পাক দূতাবাস খোলা ছিল’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৯
‘বঙ্গবন্ধু হত্যার রাতে মার্কিন ও পাক দূতাবাস খোলা ছিল’

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকা ও যুদ্ধাপরাধ পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আর বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার রাতে ঢাকায় আমেরিকান ও পাকিস্তানি দূতাবাস খোলা ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী জানিয়েছেন, এ রহস্য উদঘাটনের কাজ চলছে।

রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যা ও আমাদের ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির  বক্তব্যে মোজাম্মেল হক এ কথা জানান।  

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

জাতিসংঘে এ দাবি উপস্থাপন করলে যাতে কেউ বিরোধিতা না করে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রদূতরা সেই কাজ করছেন। এ দাবি আদায়ে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।  

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, জামায়াতের গণহত্যা, ধর্ষণ নতুন প্রজন্ম যেন ভুলে না যায়, সেজন্য তাদের স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ড পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।

মোজাম্মেল হক বলেন, যারা গণহত্যার সংখ্যা নিয়ে বিরোধিতা করে, তারা স্বাধীনতা মানে না। যারা সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিচার হওয়া দরকার।  

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার গতিশীল করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, রাজাকারদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এই বিচার আরও ব্যাপকভাবে করা হবে। স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত যারা করে, তাদের সন্তানদের সরকারি চাকরি দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে কাজ করছে সরকার।  

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মন্ত্রী বলেন, খুনি জিয়ার যুদ্ধ করা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বিতর্ক আছে আরেক খুনি খন্দকার মোশতাক আহমেদেরও ভূমিকা নিয়ে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সময় (১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট) সারারাত আমেরিকান দূতাবাস ও পাকিস্তানি দূতাবাস খোলা ছিল, এটা রহস্যজনক। এটা নিয়ে গবেষণা-কাজ চলছে, এটার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা হবে।  

মুক্তিযুদ্ধের পরে দীর্ঘ সময় স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় ছিল, এজন্য ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ঘুমন্ত জাতির ওপর আক্রমণ করা কাপুরুষোচিত, বর্বরোচিত। কতোটা অমানবিক নিষ্ঠুর কাজ করতে পারে মানুষ, সেটা ১৯৭১ সালের পাকিস্তানিদের দেখলে বোঝা যায়।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শহীদ বুদ্ধিজীবীর কন্যা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. নুজহাত চৌধুরী। আলোচক ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) একে মোহাম্মদ আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, সাবেক তথ্য ও সংস্কৃতি সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) ওয়াকার মান্নান ও সাবেক সচিব কবি আসাদ মান্নান প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৯
টিএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।