ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বালু ফেলে খালে বাঁধ, আবাদি জমিতে জলাবদ্ধতার শঙ্কা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৯
বালু ফেলে খালে বাঁধ, আবাদি জমিতে জলাবদ্ধতার শঙ্কা খালে বালু ফেলে বাঁধ। ছবি: বাংলানিউজ

টাঙ্গাইল: ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল সড়কের কালিহাতী উপজেলার ইছাপুর মেসার্স তৌহিদ ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন খালে বালু ফেলে বাঁধ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কালভার্টের মুখ আটকে এই বাঁধ দেওয়ায় ওই এলাকার প্রায় শত শত একর আবাদি জমিতে জলাবদ্ধতার শঙ্কা করা হচ্ছে।

শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালভার্টের মুখে খালের ওপর বালু ফেলছেন স্থানীয় বিএম কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম। ওই অধ্যক্ষ কালভার্ট বন্ধ করে স্থাপনা নির্মাণের পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

তারা বলছেন, এই বাঁধের ফলে পানির স্বাভাবিক চলাচলের প্রতিবন্ধকতায় প্রায় শত শত একর আবাদি জমিতে জলাবদ্ধতা হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে বর্ষার ভরা মৌসুমে কালভার্টের মুখে এ বাঁধ থাকলে জলাবদ্ধতার কারণে উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।

স্থানীয় কৃষকরা বাংলানিউজকে বলেন, অতিদ্রুত কালভার্টের এই মাটি অপসারণ করা না হলে সামান্য বৃষ্টি হলেই চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবে।  
 
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, কালভার্টটি ইছাপুর স্ট্যান্ডে বরাদ্দ থাকলেও জায়গা স্বল্পতার কারণে তিনি তার নিজ জমিতে কালভার্ট নির্মাণ করে দিয়েছেন। আর এখন তিনি তার নিজ প্রয়োজনে ভরাট করছেন কালভার্টটির মুখ। আর এতে কার কী ক্ষতি সেটা তার দেখার বিষয় নয়।
 
যোগাযোগ করলে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত দেবনাথ বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি। দ্রুত সংশ্লিষ্ট বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জন্য আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৯
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।