ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ঢাকাকে টাইম বোমায় পরিণত করবেন না: র‌্যাব ডিজি 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৯
ঢাকাকে টাইম বোমায় পরিণত করবেন না: র‌্যাব ডিজি  অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন র‌্যাব ডিজি বেনজীর আহমেদ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাসায়নিক পদার্থের গোডাউন রেখে ‘ঢাকাকে টাইম বোমায়’ পরিণত না করতে কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। 

তিনি বলেছেন, কেমিক্যালের কারণে এক সময় পুরান ঢাকা টাইম বোমায় রূপ নিয়েছিল। যে কারণে পরপর দু'টি বড় দুর্ঘটনা ঘটলো।

তৃতীয়বার যেন এ দুর্ঘটনা না ঘটে। ঢাকাকে টাইম বোমায় পরিণত করবেন না।  

শনিবার (২৩ মার্চ) সকালে রাজধানীর বকশীবাজার কারা কনভেনশন হলে র্যাব-১০ কর্তৃক আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। পুরাতন ঢাকার আবাসিক এলাকা থেকে কেমিক্যাল, প্লাস্টিক ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ দাহ্য পদার্থের কারখানা ও গোডাউন অপসারণের নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।  

সভার প্রধান অতিথি বেনজীর আহমেদ বলেন, সরকার চায় এই এলাকায় (পুরান ঢাকা) আর দাহ্য পদার্থের ব্যবসা না হোক। তাই টাস্কফোর্সের উদ্যোগে তা সরানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ পাচ্ছি, কেউ কেউ এসব নিজের বাসায় আত্মীয়ের বাসায় রাখছেন। পুরান ঢাকাকে সেফ করতে গিয়ে দাহ্য পদার্থ ছড়িয়ে পুরো ঢাকাকে যেন টাইম বোমায় পরিণত না করা হয়।

তিনি বলেন, সমস্যা দুই দিক থেকেই। এসব যদি রাখার জায়গা না থাকলে আপনারা কেমিক্যাল নিয়ে কোথায় যাবেন? কিন্তু এটা রাখতে গিয়ে যদি সারা ঢাকা শহরে ছড়িয়ে ফেলেন তাহলে তা পুরো ঢাকার সমস্যঅর কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এক সময় পুরান ঢাকা ছিল টাইম বোমা। সেই কেমিক্যাল ছড়ালে পুরো ঢাকা শহর টাইম বোমায় পরিণত হবে। সেটা করা যাবো না।

র‌্যাবের ডিজি বলেন, আমরা আর গরিব দেশ নই। আমাদের গরিবি আছে মনে। সেটা দূর করতে হবে। আমাদের এখন পার ইনকাম দুই হাজার ডলার। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা হবো মধ্যম আয়ের দেশ। আমাদের চ্যালেঞ্জ নেবার ক্ষমতা আছে। আমাদের সেটা গ্রহণ করতে হবে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আমি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করবো, পুরান ঢাকার কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের উজালা ম্যাচ ফ্যাক্টরি ও ঢাকা ম্যাচ ফ্যাক্টরির যে ল্যান্ড আছে সেটা ভাড়া নেন। আমাদের যারা ব্যবসায়ী তারা নিজ উদ্যোগে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন। এটা করলে দুই মাসের মধ্যেই সাময়িক সমস্যার সমাধান হবে।

‘আমরা আফসোস করছি নদী শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এটাও তো ঠিক যে নদী শুকিয়ে যাওয়ায় জমি পাচ্ছি। সেটা বন্দোবস্ত করুন। ম্যাচ ফ্যাক্টরির জমি ভাড়া নেন। একশ’ দেড়শ’ একর নেন। ব্যবসায়ী ভাইদের বিপাকে ফেলানো আমাদের কাজ না। তাদের ব্যবসার নিরাপদ জোন করা সম্ভব। ’ 

দাহ্য পদার্থ সরিয়ে নেয়া ব্যবসায়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা কোনো প্রতিপক্ষ না। আজকে দেশ এই জায়গায় এসেছে আপনাদের (ব্যবসায়ী) জন্য। আমরা প্রশাসন, পলিটিসিয়ান, পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সবাই কাজ করি আপনাদের জন্য।

সভায় সভাপতিত্ব করেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ও র‌্যাব -১০ এর অধিনায়ক মো. কাইয়ুমুজ্জামান খান। এ সময় অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (ডিসি লালবাগ) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাসনাত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ সভাপতি আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ কেমিক্যাল অ্যান্ড ফারফিউমারি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৯
এমএমআই/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।