ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

‘নির্বাচনী বিরোধের জেরে বাঘাইছড়ি হত্যাকাণ্ড’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০২ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৯
‘নির্বাচনী বিরোধের জেরে বাঘাইছড়ি হত্যাকাণ্ড’ তদন্ত কমিটির সদস্যরা/

খাগড়াছড়ি: রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান আল মাহমুদ ফায়জুল কবীর বলেছেন, নির্বাচনী বিরোধের জেরে বাঘাইছড়ি হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে প্রাথমিকভাবে মনে করছি।

এ ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে জানিয়ে পাহাড়ে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত সদস্যদেরও জীবনের নিরাপত্তা হুমকির মুখে রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
 
শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি পরিদর্শন শেষে খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।


 
তিনি বলেন, সবার সঙ্গে কথা বলে যেটা বুঝেছি- এ ঘটনা নির্বাচনী বিরোধকে কেন্দ্র করে ঘটেছে। কারণ, যে গাড়িগুলো লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছে সেখানে প্রিজাইডিং অফিসার, নির্বাচনী বাক্স, ব্যালট, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ছিল।

আনসার-পুলিশ সদস্যরা বলেছেন, গাড়ি বহরের নিরাপত্তায় থাকা বিজিবির কাছে ভারী অস্ত্র থাকায় তারা পাল্টা আঘাত করতে পারতো। যেটি তারা করেনি।
 
তদন্ত করতে গিয়ে আমাদের কাছে মনে হয়েছে এখানে আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের জীবনের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে সংশ্লিষ্ট সবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।

একটা মানুষের বেঁচে থাকাটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু মানুষের মৃত্যু ঘটেছে এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। বিষয়টি আমাদের চেয়ারম্যান (মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান) উদ্বেগ প্রকাশ করে তদন্তে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।
 
পরিদর্শনকালে কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল, বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তি, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। এর আগে কমিটি চট্টগ্রাম সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করেন।
 
গত ২১ মার্চ বাঘাইছড়ির ঘটনা জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বপ্রণোদিতভাবে অভিযোগটি গ্রহণ করে ঘটনা তদন্তে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেন। কমিটিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল-মাহমুদ ফায়জুল কবীরকে আহ্বায়ক এবং মানবাধিকার কমিশনের রাঙ্গামাটির সহকারী পরিচালক (আইন) শাহ পরানকে সদস্য সচিব করা হয়। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে ঘটনার প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
 
গত ১৮ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে বাঘাইছড়ি সড়কের ৯ কিলোমিটার এলাকায় হামলার শিকার হন নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সন্ত্রাসীদের নির্বিচারে ব্রাশ ফায়ারে সাতজন নিহত হয়, আহত হয় আরও বেশ কয়েকজন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।