ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শহীদ মিনার নির্মাণে নীতিমালার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৯ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৯
শহীদ মিনার নির্মাণে নীতিমালার দাবি একাত্তরের যাত্রী আয়োজিত আলোচনা সভা | ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যক্তির ইচ্ছামতো শহীদ মিনার নির্মাণ হচ্ছে। কোনোটি মূল শহীদ মিনারের সঙ্গে বৈসাদৃশ্য রেখে, কোথাও বিকৃতিভাবে তৈরি হচ্ছে শহীদ মিনার। এতে মূল শহীদ মিনারের বেদি ও নকশার আকৃতি হারিয়ে যাচ্ছে। এসব শহীদ মিনার তৈরি বন্ধ করতে একটা নীতিমালা তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা।

শুক্রবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে একাত্তরের যাত্রী আয়োজিত ‘শহীদ মিনার নির্মাণে শিল্প ভাবনা ও নীতিমালা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান তারা।

আলোচনা সভায় ভাষা সৈনিক ও জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে শহীদ মিনার তৈরি হয়েছে, এটা ভালো দিক।

তবে কোনো কোনো স্থানে আবার এর বিকৃতি ঘটেছে। আমরা এটা চাই না। আমরা চাই আমাদের শহীদ মিনারের যেন বিকৃতি না ঘটে। এটাকে আমরা রক্ষা করতে চাই। এজন্য একটা নীতির প্রয়োজন, এখন এটা জরুরি হয়ে পড়েছে।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম হামিদ বলেন, আমরা যখন শহীদ মিনার বা স্মৃতিসৌধের কাছে যাই তখন আমাদের মন ভরে ওঠে। এসব জায়গার বিশালত্ব আছে, সম্মান আছে। আবার রাতের বেলায় এর পরিবেশ খুবই দুঃখজনক থাকে। দিনের বেলায় অনেক পশু সেখানে চলাফেরা করে। আমাদের সবার দায়িত্ব শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষা করা। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে সব শহীদ মিনার নির্মাণ করা দরকার। জাতীয় পতাকা তৈরির নীতিমালা থাকলে শহীদ মিনার কেমন হবে সেটারও একটা নীতি থাকা চাই।

কবি ঝর্না রহমান বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা মূল শহীদ মিনারের আদলে হাতে তৈরি শহীদ মিনার নির্মাণ করে শ্রদ্ধা জানায়। আমরা এভাবে ছোট অবস্থায় শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছি। আমাদের এখন সময় এসেছে এই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে সব শহীদ মিনার গড়ে তোলা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাসিমুল কবির ডিউক বলেন, যারা শহীদ মিনার তৈরি করেন তারা তাদের আবেগের জায়গা থেকে তৈরি করেন। বিভিন্ন স্থানে নানাভাবে শহীদ মিনার করা হচ্ছে। কেউ রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে করছেন, কেউ এটাকে সম্পূর্ণ বিকৃত করছেন। আমার মনে হয় নীতিমালা না হলেও অন্তত একটা মনিটরিং সেল করা দরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৯
ইএআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।