শরীয়তপুর: মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানাহাজতে মোখলেছুর রহমান (৪০) নামে এক আসামির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, গোসাইরহাট উপজেলার চর মহিষকান্দি গ্রামে ২ সহোদর শিশুকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে মোখলেছুর রহমানকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছিল গোসাইরহাট থানাপুলিশ।
পুলিশ এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বললেও পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের নির্মম নির্যাতনেই মোখলেছুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে।
থানা ও স্থানীয় সূত্র বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানায়, গত ১০ আগস্ট সোমবার দিনগত রাতে মহিষকান্দি গ্রামের ফয়সাল সরদারের শিশুসন্তান নীরব (৫) ও রজনীকে (৩) অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা বাড়ির পাশের বিলের পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলা সূত্রে গোসাইরহাট থানাপুলিশ গত ২৯ আগস্ট গোসাইরহাটের মশুরগাঁও গ্রামের ব্যবসায়ী মোখলেছুর রহমানকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে রিমান্ডে নেয়।
মোখলেছের স্ত্রী মুর্শেদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার স্বামী এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নয়। সন্দেহভাজন হিসেবে ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে তাকে হত্যা করেছে পুলিশ। আমি এর বিচার চাই। ’
তবে গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম আলী মোল্যা বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে আসামি মোখলেছ থানা হাজতে থাকা কম্বল ছিঁড়ে লোহার শিকের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাকে কোনও নির্যাতন করা হয়নি। ’
থানা পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য লাশ শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে মোখলেছের মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১০