বুধবার (২০ মার্চ) বিকেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে বাসরুট রেশনালাইজেশন কল্পে গঠিত কমিটির এক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কমিটির চতুর্থ এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সাঈদ খোকন বলেন, চক্রাকার এ বাস সার্ভিসে বিআরটিসির ২০-২৫টি বাস থাকবে। এতে ৩৬টি স্পট করে দেওয়া হবে। এসব স্পটে বাসগুলো এসে নির্ধারিত সময়ের জন্য অপেক্ষা করবে। এসব কাউন্টারে প্রতি পাঁচ মিনিট অন্তর অন্তর একটি করে বাস আসবে। এসব বাস যাত্রী তোলা শেষে কাউন্টার ত্যাগ করবে। বাসের ভাড়া বিআরটিসির রুল অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। সেই সঙ্গে এ সার্ভিসের ফলে ওই এলাকায় যেসব ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ পরিবহন চলাচল করছে সেগুলো পর্যায়ক্রমে অপসারণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বাসরুট রেশনালাইজেশনের জন্য আমরা আগেও বলেছি যে আমাদের কমপক্ষে দুই বছর সময় লাগবে। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনের কারণে আমরা দু’তিন মাস ঠিকমতো কাজ করতে পারিনি। তবে আমরা সেই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি।  

গণপরিবহন ও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আজ সড়কের যে অবস্থা তা দু’এক দিনে হয়নি। তেমনি এই সমস্যার সমাধান ও দু'একদিনে করা সম্ভব না। আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করছি। এই চক্রাকার বাস চালু করা তেমনি কাজের একটি অংশ। আমাদের আরো দুটো পয়েন্ট নিয়ে পরিকল্পনা আছে। একটি হচ্ছে উত্তরা এবং অপরটি মতিঝিল। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করলে সড়কের পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে।

চালকদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা রাজউক দেবে বলেও জানান মেয়র সাঈদ খোকন। আর নতুন বাস আমদানির পরে পুরনো বাসগুলোর কি হবে সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান ঢাকা দক্ষিণের এই নগরপিতা।  

সমন্বয় সভায় ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ, রাজউক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ শ্রশিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলীসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা মার্চ ২০, ২০১৯
এসএইচএস/এএ