উৎসবের তৃতীয় দিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত গ্রিন প্লাজায় সঙ্গীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৫টায় থেকে শুরু হয়েছে নজরুল সঙ্গীত, রবীন্দ্র সঙ্গীত, বিষয়ভিত্তিক বক্তৃতা, স্বরচিত কবিতা, কবিতা আবৃত্তি।
রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পৃষ্ঠপোষকতায় রোববার (১৭ মার্চ) থেকে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় এ উৎসব শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে বই মেলা, শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আন্তর্জাতিক এ উৎসবের জৌলুস বাড়াচ্ছে।
আন্তর্জাতিক এ উৎসবে আয়োজন করা বইমেলা চলবে আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত। মেলায় বিদ্যাসাগর, নন্দিতা প্রকাশ, বাংলা একাডেমি, অনন্যা, দেশ পাবিলিকেশন্স, বেহুলাবাংলা, ইত্যাদি, গ্রন্থ প্রকাশ, ঐতিহ্য, বিদ্যাপ্রকাশ, ইকরি মিকরি, যুক্ত, বর্ণ প্রকাশ লিমিটেড, বাবুই, বালাকা প্রকাশনী, আলোঘর, মেঘসহ বিভিন্ন প্রকাশনীর স্টল রয়েছে।
বইমেলায় বিকেলের পর থেকেই ক্রেতা, দর্শনার্থী আর পাঠকদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দর্শনার্থীরা মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখছেন। হাতে নিয়ে পড়ে দেখছেন। কিনছেন পছন্দমত বই।
প্রকাশনা সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিদিনই মেলায় ভালো বেচাকেনা হচ্ছে। ক্রেতার সমাগম যেমন ভালো, তেমনি পাঠকদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। অনেক স্টলেই প্রকাশনীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন বইয়ে দেওয়া হয়েছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বিশেষ ছাড়। প্রকাশকদের ধারণা আগামী দিনগুলোতে ক্রেতা-পাঠক আর দর্শনার্থী সমাগম আরও বাড়বে।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাংষ্কৃতিক উৎসব উদযাপন পরিষদ উপ-কমিটির আহ্বায়ক মাহমুদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ১০ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের সমাপনী দিনে (২৬ মার্চ) স্কুলভিত্তিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এছাড়াও সেদিন বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার দেওয়া হবে। এছাড়া উৎসবের শেষ দিন সকালে মহান স্বাধীনতা দিবসে গণহত্যা ও ২৫ মার্চ বিষয়ক প্রদর্শনী এবং বিকেল ৫টায় স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৯
এসএস/এএ